আজ থেকেই জি বাংলার পর্দায় শুরু হচ্ছে মিষ্টি কথার পাচঁন ‘আনন্দী’। ধারাবাহিকে নায়িকা হিসেবে দেখা যাবে অভিনেত্রী অন্বেষা হাজরাকে। আর বিপরীতে নায়ক হিসাবে থাকছেন ঋত্বিক মুখার্জী। হ্যাঁ সেই ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ এর জুটিই আবার ফিরছে তবে এবার অন্য গল্প নিয়ে অন্য নাম। এই সিরিয়ালের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিল সকলেই।
আজ প্রথম পর্বেই সবার মন জিতে নিয়েছেন অন্বেষা থুড়ি আনন্দী। গল্পে পেশায় একজন নার্স সে। অসুস্থ মানুষের সেবা করে বা বলা ভালো মন ভালো করে অসুখ সরিয়ে দিতে এক্সপার্ট সে। আজকের পর্বে দেখা যাবে যে বাড়িতে সে কাজ করত সেখানে অ্যাকসিডেন্ট হয়ে হাঁটার ক্ষমতা হারিয়েছে একটি মেয়ে। যে কারণে পরিবারের সকলেই বেশ দুঃখী ও চিন্তিত। তবে আনন্দী কিন্তু একেবারে উল্টো সবাইকে মাতিয়ে মেয়েটিকে হাঁটতে শুরু করানোর জন্য তৈরী সে।
এদিন ছিল মেয়েটির জন্মদিন। যদিও বাড়ির কারোর মুখেই কোনো খুশি ছিল না। তাই নিজেই জন্মদিনের জন্য ঘর সাজিয়ে ফেলে সে। এরপর বাড়ি থেকে নিজের হাতে রান্না করে আনা খাবার টেবিলে সাজিয়ে মেয়েটিকে নিজে হেঁটে আসতে বলে। প্রথমে ভয় পেয়েও পরে হাঁটার চেষ্টা করে মেঝেতে পড়ে যায় সে। কাঁদতে শুরু করলে আনন্দী তাঁর হাতটা ধরে জানায় এই যে চেষ্টাটা করলে এটাই তো অনেকটা। তারপর ধীরে ধীরে নিজে হেঁটেই খাবার টেবিলে যায় সে।
প্রথম দিনেই একটা বাড়িতে খুশি ফিরিয়ে এনে দিল আনন্দী। কিন্তু এতে তার নিজের মাথায় চিন্তার পাহাড় ভেঙে পড়ল। কারণ সুস্থ মানেই তাঁর কাজ শেষ। এবার পরবর্তী কাজ না পাওয়া পর্যন্ত টাকাও পাবে না সে। যদিও কাজ পেতে খুব একটা অপেক্ষা করতে হয়নি তাকে। গল্পের নায়ক পেশায় ডাক্তার। মন ভালো করায় একেবারেই বিশ্বাসী নয় সে বরং মেডিকেল সাইন্সটাই সব তার মতে। যদিও বাড়িতে ঠাম্মিকে ইনজেকশন দিতে গিয়ে ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি দশা নার্সদের। তাই শেষমেশ নার্সিং সেন্টারে ফোন করে ঝড় দিতে শুরু করে সে।
তখনই এন্ট্রি আনন্দীর। কাজের দরকার থাকায় যে কোনো কাজ নিতেই রাজি সে। তাই যেখানে বাকি সমস্ত নার্সরা যেতে নারাজ সেখানেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আনন্দী। এবার অপেক্ষা আগামী পর্বের যেখানে ঠাম্মি ও নায়কের সাথে দেখা হবে তাঁর। তবে শুরুর পর্বেই যে বাজিমাত করেছে এটুকু ধরে নেওয়া যেতেই পারে।