ইচ্ছা আর ধৈর্য্য থাকলে মানুষ যেকোনো অসাধ্য সাধন করতে পারেন। প্রবল ইচ্ছা মনে আলাদা সাহস যোগায়। ইচ্ছাশক্তির কাছে বয়স তো কেবল সংখ্যা মাত্র। আমরা প্রত্যেকেই নিজেদের মতো করে বিশেষ কিছু করতে পারি। সর্বদা অন্যের মতো হতে না চেয়ে নিজের গুনকে আমল দিয়ে কিকরে নিজে প্রতিষ্ঠিত হতে হয় তা শেখালেন মহারাষ্ট্রের এক ঠাকুমা, সুমন ধামনে। ঠাকুমার রান্না দেখে মুগ্ধ হয়েছে লক্ষ লক্ষ নেটিজেনরা।
ঠাকুমার জন্ম হয়েছে মহারাষ্ট্রের পুনে রোডের সুপা গ্রামে। ঠাকুমার হাতে জাদুর ছোঁয়া আছে। তার হাতে তৈরী মশলা অসাধারণ। আর সেই মশলা রান্নায় পড়লে রান্নার স্বাদ হয়ে যায় অমৃতের সমান। বর্তমানে ঠাকুমা থাকেন আহাম্মদ নাগার থেকে দূরে সরলা কাসার গ্রামে। এই ঠাকুমা এখন একজন ইউটিউব খ্যাত রাঁধুনি। ঠাকুমার ইউটিউব চ্যানেলের নাম আপলি আজি (Apli Aji)।
লেখাপড়া করতে পারেননি তিনি। কখনো স্কুলের চৌকাঠ অবধি পৌঁছতে পারেননি তিনি। তবুও আজ তিনি একজন সফল ইউটিউবার। তার রান্না দেখতে তার নাতির তৈরী করা ইউটিউব চ্যানেলে আজ সাবস্ক্রিবার ১১ লক্ষ ৪০ হাজারেও বেশি। লকডাউনে সেই ঠাকুমার নাতি গৃহবন্দী অবস্থায় নিজের সময় কাটানোর জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরী করেছিলেন।
তারপর সে সেই ইউটিউব চ্যানেলে ঠাকুমার রান্নাঘরের ম্যাজিক হাজির করে তার ঠাকুমার একের পর রান্না ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়ে পরে। ঠাকুমা প্রথম রান্না করেছিলেন ক্যারামেলাইজড ভেজিটেবিল। শুরুর রান্নাটা একপ্রকার নেটিজেনদের ট্রোলের শিকার হয়েছিল তবে পরবর্তীকালে ভালোবাসায় ভরিয়েছেন সকলে। এর পর ধীরে ধীরে তিনি সকল রান্না প্রেমীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
একসময় ঠাকুমার এই পরিচিত চ্যানেলটি হ্যাকড হয়ে যায়। সেই সময় ঠাকুমা খুব ভেঙে পড়েছিলেন মানসিক ভাবে। কিন্তু তার নাতি অনেক চেষ্টা করে সেই চ্যানেলটি আবার ফিরিয়ে আন্তে সক্ষম হন। ঠাকুমা এখন ক্যামেরায় সকলের সামনে আসতে কিছুটা স্বচ্ছন্দ্য হয়েছেন। নাহলে প্রথম দিকে তিনি সকলের সামনে আসতে লজ্জা পেতেন। ভিডিও বানিয়ে এই নাতি ঠাকুমার জুটি ইউটিউবের তরফে একটি গোল্ডেন প্লে বাটনও পেয়েছেন।
Comments are closed.