জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় সবেমাত্র শুরু হয়েছে একটি নতুন ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। ধারাবাহিকে রয়েছে পাঁচ নারীর কথা। এই পাঁচ নারীর চরিত্রে যারা অভিনয় করছেন তারা সকলেই শক্তিশালী অভিনেত্রী। সকলের অভিনয় দর্শকদের একেবারে মন ছুঁয়ে গেছে। কাহিনীর অনন্যতায় দর্শকমহলে জায়গা করে নিয়েছে এই ধারাবাহিক।
ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক এপিসোডে দেখা যাচ্ছে বিয়ের কাহিনী। শিমূলের বাবা নেই। আছেন মা। বাবা না থাকায়, সে দাদা বৌদিদের সংসারে একটা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই শিমূলের বিয়ের ঠিক হয়েছে। পাঁচ বছরের প্রেমিকের সাথে বিচ্ছেদ করে অজানা ছেলে পরাগের সাথেই বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ের পর্ব চলছে এখন।
আর এই বিয়ের এপিসোডের মধ্যেই উঠে এসেছে সমাজের কিছু ভ্রান্ত কুসংস্কার, সমাজের কিছু ভ্রান্ত কাজকর্ম। সেগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে এই ধারাবাহিক। এই দুর্মূল্যের বাজারে একটা মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়েই প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে পড়ে পরিবারের। কিন্তু ভালো করে লোকজন ডেকে বিয়ে না দিলে মান-সম্মান থাকবেনা। লোকজন খাওয়ানোর তাগিদে অনেক সময় দেখা যায় খাবার নষ্ট হচ্ছে। নিমন্ত্রিত ব্যক্তিরা অনেকেই আসেন না। আবার দেখা যায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার নিয়ে নষ্ট করে।
আরও পড়ুনঃ অনুরাগের ছোঁয়ার আজকের পর্ব আপডেট পেতে এখানে ক্লিক করুন
আর সেরকমই এক ঘটনা দেখা গেল এই ধারাবাহিকে। পরাগের ভাইয়ের বন্ধুরা শিমূলের বাড়ির আয়োজিত খাবার নিচ্ছে, খাবার নিয়ে ফেলে, ছড়িয়ে তা পায়ের তলায় পিষে ফেলছে। ধারাবাহিকে উঠে এসেছে এমনই এক দৃশ্য। যেখানে অনেকে খেতেই পায়না, সেখানে এরকম ভাবে খাবার না খেয়ে খাবার নষ্ট করা হচ্ছে যা সত্যিই শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
শিমূল এই কথা শুনে রেগে যায়। সে জানিয়ে দেয় যতক্ষণ না খাবার নষ্ট করা বন্ধ হচ্ছে, এবং যতক্ষণ না সবাই সুস্থ ভাবে খাওয়া দাওয়া করছে ততক্ষণ এই বিয়ে সে কিছুতেই করবে না। শিমূলের এই প্রতিবাদ দর্শকদের মন ছুঁয়ে গেছে। অনেকেই এই ঘটনার সাথে বাস্তবের মিল খুঁজে পেয়েছেন।