স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chowa) তে দর্শকরা দেখতে পাচ্ছেন, মিশকার শয়তানির কোনো শেষ নেই, আজ এই শয়তানি করছে তো কাল ওই শয়তানি করছে। সারাজীবন ভর দীপার পিছনেই লেগে রইল। এদিকে লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না। দীপাকে সরিয়ে যে সূর্যকে বিয়ে করবে সেটা হচ্ছেনা, তবে মিশকার শয়তানির ফলে একটা জিনিস হচ্ছে, যেটা মিশকা এতদিন চেয়ে এসেছিল।
সূর্য-দীপার দূরত্ব, সেটা ঠিকই হচ্ছে। সূর্য- দীপার যতই দূরত্ব আনার চেষ্টা করুক মিশকা, দীপা চাইছে এই দূরত্ব না হোক। আর এই চাওয়াটা তাঁর দুই মেয়ে সোনা-রূপার মুখ চেয়ে। সূর্য যতই দূরে সরে যাক, দীপা সবটা সহ্য করছে, দুই মেয়ের মুখ চেয়ে। বাবা-মায়ের তিক্ততার কারণে সোনা-রূপার শৈশব নষ্ট হোক, এটা কখনোই দীপা চায়না। তাই সূর্যর কটু কথা শুনতেও সে রাজি। এই যুদ্ধে তাঁর পাশে রয়েছে লাবণ্য সেনগুপ্ত।
সাম্প্রতিক পর্বে দেখা যাচ্ছে, বাড়িতে হচ্ছে সত্যনারায়ণ পূজা। বাড়ির বউ হিসেবে দীপা পূজোর সিন্নি মাখছে, আর দুই পাশে বসে রয়েছে দুই মেয়ে। এছাড়াও রয়েছে সেনগুপ্ত বাড়ির সকলে। দেখেই একেবারে সুন্দর হাসি-খুশি পরিবার মনে হচ্ছে। কিন্তু এই হাসি-খুশির পাশেই রয়েছে মিশকার শয়তানি।
আরও পড়ুনঃ অনুরাগের ছোঁয়ার নতুন পর্ব আপডেট পেতে এখানে ক্লিক করুন
সোনা জানে সে অনাথ। পূজোর পর সোনা আবারও খোঁজে তাঁর মা-বাবাকে। সে মা-বাবাকে কাছে যাওয়ার জন্য বায়না করে। সোনা নিজের বাবাকে ডাক্তারবাবু বলে সম্বোধন করে। দীপা বোঝালেও সোনা বুঝতে চায় না, সে রাগ করে উপরে উঠে চলে যায়। যে সোনা সবসময় ডাক্তারবাবুর পাশে পাশে থাকত, সেই সোনা আজ কত দূরে ডাক্তারবাবুর থেকে। আর সেই কষ্টে বুক ফেটে যাচ্ছে সূর্যর। আর এটাকেই কাজে লাগায় মিশকা।
এইসব কিছুর জন্যে লাবণ্য সেনগুপ্ত নিজেকেই দোষী মনে করে। আর মিশকা এই সুযোগে আবার সর্বনাশের খেলায় মত্ত হয়ে পড়ে। সোনার জন্য নকল বাবা-মা খোঁজে। মিশকা একজনকে ফোন করে বলে, তার একটা মেয়ে চায় যার বয়স ৩০ বছরের মধ্যে। আবারও সর্বনাশ করতে আসছে মিশকা। দীপা কি করে সমাধান করে সেটাই দেখার।