আমাদের ক্ষমা কর! কেকের মৃত্যুতে ডঃ কুনাল সরকারের চাঞ্চল্যকর পোস্ট, ক্ষোভ প্রকাশ অনুরাগীদের

গত ৩১ শে মে গানের জগতে খসে পড়েছে আরেকটি নক্ষত্র কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ গোটা জগতের কাছে অবশ্য তিনি কেকে (KK) নামেই পরিচিত ছিলেন। কেকের এমন হঠাৎ

Desk

dr. kunal sarkar talks about reason of kk's death

গত ৩১ শে মে গানের জগতে খসে পড়েছে আরেকটি নক্ষত্র কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ গোটা জগতের কাছে অবশ্য তিনি কেকে (KK) নামেই পরিচিত ছিলেন। কেকের এমন হঠাৎ করে মৃত্যুটা মেনে নিতে পারছেননা কেউই। তারকা থেকে জনগণ গানের জগতের জনপ্রিয় গায়ক গায়িকারা তার এমন অকতস্মাৎ মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোকস্তব্দ। কেউ যেন ভাবতেই পারছেননা কেকে আর নেই।

কেকের (KK) জীবনের অধ্যায়টা ৫৩ বছর বয়সেই থেমে গেলো চিরতরে। মুম্বাই থেকে শহরে এসেছিলেন ভক্তদের টানে। গানের টানে। তিনি কি নিজেও কখনও জানতেন এই কলকাতার বুকেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে তার জীবনের শেষ অনুষ্ঠানটি। কেকের সাথে যারা ছিলেন তাদের মধ্যে একজন জানিয়েছেন মানুষটা সকাল থেকেই মহড়া দিচ্ছিলেন দফায় দফায়। গানই  তার সব ছিল। কিন্তু এভাবে সবটা শেষ হয়ে যাবে সত্যি বিশ্বাস করা যাচ্ছে না।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by KK (@kk_live_now)

কেকের মৃত্যুতে ডঃ কুনাল সরকার (Dr. Kunal Sarkar about KK Death)

কেকের এই মৃত্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার অনুরাগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন নজরুল মঞ্চের ম্যানেজমেন্টের প্রতি। কেকের ওই দিনের কিছু ছোট ছোট ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার হয়েছে। আর প্রায় প্রতি ভিডিওতেই স্পষ্ট ছিল গায়ক গরমে ভীষণ কষ্ট পাচ্ছিলেন। বারবার জল খাচ্ছিলেন, ঘাম মুছছিলেন অবশেষে এক সময় আর সহ্য করতে না পেরে কিছু লাইট অফ করে দেওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি।

শরীরে কষ্ট নিয়েই অনুষ্ঠান শেষ করেছেন তিনি। কিন্তু কেন হলো এমনটা। এমনটা কি হওয়ার কথা ছিল। তথ্য সূত্রে জানা গিয়েছে ওইদিন নজরুল মঞ্চে ক্যাপাসিটির প্রায় ৪ গুন্ বেশি মানুষ উপস্থিত ছিল। ওখানকার কর্মচারীর কথায় ভিড় এতটাই ছিল যে পাঁচটি গেটের একটিও তারা আটকে রাখতে পারেননি। তাদের কথায় ভিড়ের কারণে এসি চললেও কাজ করছিলোনা তা। কিন্তু ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত কিছু শ্রোতা সোশ্যাল মিডিয়া মারফত জানিয়েছেন মাত্রাতিক্ত ভিড় এর সাথে সাথে একটা এসিও চলছিল না। এতো গরমে খুব কষ্ট হচ্ছিলো গায়কের।

আরও পড়ুনঃ মাত্রাতিরিক্ত ভিড়, দমবন্ধকর পরিস্থিতি! কেকের মৃত্যুর পর উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

সাথে স্টেজে দুদিক ঘিরে কমপক্ষে ৫০-৬০ জন দাঁড়িয়েছিলেন। পারফর্মেন্সের যথেষ্ঠ জায়গাটুকুও ছিলোনা কেকের জন্য। কিন্তু এবার এইসব বিষয় সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠে বারবার কেন এমনটা হল ? কেন মেনেজমেন্ট এতটা গাফিলতি দেখালেন ? কেনই বা নির্দিষ্ট সময়ে তাকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া গেলো না ? এমন অনেক কেনই ঘুরছে সবার মনে। উত্তরটা সকলের চাই।

এরই মাঝে কেকের মৃত্যুতে ডঃ কুনাল সরকার একটি ফেইসবুক পোস্ট মারফত প্রয়াত গায়কের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন ও ক্ষমা প্রার্থনাও করেছেন তার এমন পরিণতির জন্য। ডঃ কুনাল জানান, কেকেকে যে সময় হসপিটালে আনা  হয়েছিল তার ঠিক ২ ঘটে আগে থেকেই তিনি অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেছিলেন। পথে চারটে হাসপাতাল পেরিয়ে ছিল তার থাকার হোটেলটি। তাকে কি সময় নষ্ট না করে আগেই হসপিটালে আনাটা উচিত ছিল না ? তাহলে হয়তো আজ তিনি প্রাণে বেঁচে যেতেন। তাই তিনি এই পোস্টের শেষে প্রয়াত গায়কের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

× close ad