পণের টাকা চাই নাহলে বিয়ে ভেঙে দেব! কনের পাশে বসে বরের দাবির ভিডিও ভাইরাল নেটপাড়ায়

সভ্য সমাজের পণপ্রথা (Dowry) একেবারে গ্রাহ্য নয় কারণ নারী কোনো পণ্য নয়। আধুনিক সমাজে একথা গ্রাহ্য হলেও বোধহয় গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে পারেনি অনেক জায়গাতেই। তাইতো

Desk

Groom wants Dowry sitting next to Bride wants to cancel wedding

সভ্য সমাজের পণপ্রথা (Dowry) একেবারে গ্রাহ্য নয় কারণ নারী কোনো পণ্য নয়। আধুনিক সমাজে একথা গ্রাহ্য হলেও বোধহয় গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে পারেনি অনেক জায়গাতেই। তাইতো বাড়ে বাড়ে কোনো না কোনো ভাবে একজন নারীকে চরম অপমানের শিকার হয়ে হয়। আর সেই চিত্র ফুটে ওঠে আমাদের চোখের সামনে। নারীর সন্মান, প্রাপ্য, স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিতে সমাজে বহু লড়াই হয়েছে। তবুও আজ আধুনিক সমাজে দাঁড়িয়ে সেই নারীর পণ্য রূপে প্রতিভাত হওয়া শিক্ষিত সমাজের জন্য চরম লজ্জাজনক।

পন প্রথা এদেশের ঘৃণ্য একটি পন্থা। মেয়ে মানেই যে একজন পিতার ঘাড়ে বোঝা নয়, আজ সেইরূপ নজির নারীরা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু তারই মাঝে কিছু মানুষ আজও নির্লজ্জ, বেহায়ার মতো বরের বেশে পন নিয়ে একজন নারীকে সকলের কাছে, একজন নারীর আত্নসম্নানের কাছে চরম অপমানিত করতে হাজির হয়ে যায়।

Groom wants dowry or threatens to cancell wedding পণ না দেওয়ায় কনের পাশে বসে বিয়ে ভাঙার হুমকি

পন নেওয়া যেমন অপরাধযোগ্য, পণ দেওয়াটাও সমান অপরাধযোগ্য। একজন কন্যার পরিবার নিজে তাদের সন্তানের ম্যান রাখতে না পারলে, সমাজ তো তাকে কখনোই যোগ্য সন্মান প্রদান করবে না। কারণ নারীর সন্মান আজও সমাজে ছিনিয়ে নিতে হয়। নারীকে ক্ষেত্র ছাড়তে সমাজ নারাজ থাকে সবসময়। নারীর প্রতিটি পদক্ষেপে পদে পদে বাধা প্রদান করাই সমাজের মূল কাজ।

সম্প্রতি ইন্সটাগ্রাম ওয়ালে একটি এমন ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যা দেখে সম্বিত হয়েছেন সকলেই। ভিডিওটি একটি বিয়ের। যেখানে পাত্র-পাত্রী বর ও বধূ বেশে বসে আছে, এই অবধি ঠিকই ছিল চেনা ছবিটা। কিন্তু ভিডিওটিতে পাত্রকে বলতে শোনা যায় তার ‘ডিমান্ড’ পূরণ না করলে সে নাকি বিয়ের আসর ছেড়ে ফিরে যাবে। তার পক্ষে পনের জিনিস না পেলে সে বিয়ে করবেনা।

https://twitter.com/humlogindia/status/1500365349304225796

সে নিজেকে একজন সরকারি কর্মচারী বলে দাবি করে, ভিডিওটিতে আরো জানা যায়, পাত্রের বাবা নাকি একজন শিক্ষক। আর বর বেশে বসে থাকা সেই ব্যাক্তি বারংবার একই কথা বলতে থাকেন, সে একজন সরকারি কর্মচারী, আর তার চাওয়া জিনিস তাকে না দিলে সে এই বিয়ে করবে না। বর্তমানে পন প্রথার জন্য ফৌজদারি আইনে ৭ বছরের কারাদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত ধার্য করা হয়েছে।

Related Post