Haragouri Pice Hotel : স্টার জলসার (Star Jalsha) একটি উল্লেখযোগ্য ধারাবাহিক হল ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’। টিআরপি তালিকায় যার স্থান দশমে। ধারাবাহিকটি সকলের কাছেই বেশ জনপ্রিয়। আর জনপ্রিয় বলেই টিআরপি তালিকায় এক থেকে দশের মধ্যে তার স্থান থাকে সবসময়। এমনকি ঐশানী আর শঙ্করের জুটিও দর্শকমহলে বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছে। টিআরপি তালিকায় স্থান যেহেতু দশে রয়েছে, তাই ধারাবাহিক নির্মাতা চিন্তিত রয়েছেন।
যদি ধারাবাহিক টিআরপি থেকে স্থানচ্যুত হয়। আর তাই ধারাবাহিকে আনা হয়েছে নতুন চমক, সেই প্রোমো প্রকাশ্যে এল। সম্প্রতি ধারাবাহিকের কাহিনীতে দেখা যাচ্ছে, বাড়ির প্রতিবাদী বৌ হল ঐশানী, একদিকে যেমন সে মেয়ে হয়ে একটা মেয়ের পাশে দাঁড়ায়, তেমনই বাড়ির বউ হয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়ায়। শিক্ষিত মেয়ে হয়েও ঐশানী শাড়ি পড়ে, শাখা সিঁদুর পড়ে সংসার সামলাচ্ছেন।
এদিন শঙ্করের দাদা প্রশ্ন করে মেয়েদের কেন হাত খরচ দেওয়া হয়েছে, এত বাড়তি খরচ কেন হয়েছে? সেই ভয়ে সকলেই বলেছিল হাতখরচ চায়না। কিন্তু ঐশানী প্রতিবাদ করে বলে, প্রতি মাসে মেয়েদের যে রজঃস্বলা হয় তার জন্য স্যানিটারি প্যাডের দরকার হয়, এটার জন্য টাকার প্রয়োজন। এই কথা শুনে সকলেই অবাক হয়ে যায়। শ্বশুর ভাসুরের সামনে এমন কথা শুনে বাড়ির মেয়েরা কানে হাত চাপা দেয়। এর থেকে প্রমাণ হয় ঐশানী আধুনিক মনস্ক। এবার ধারাবাহিকে ঐশানী আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে নতুন রূপে।
কিছুদিন আগেই একটি চমকদার প্রোমো প্রকাশ পেয়েছিল এই ধারাবাহিকের। যেখানে দেখা গেছে ঐশানী গুলি চালানো অভ্যাস করছে। এবার সেইরকমই আরেক চমকদার প্রোমো সামনে এল। যেখানে প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে, সাধারণ গৃহবধূ ঐশানী ছদ্মবেশে এসে হরগৌরী হোমস্টের ঐশানীর খোঁজ করে। তখন তাকে প্রভাকর জানায় এখানে ওই নাম কেউ থাকেনা।
অন্যদিকে ঐশানীর ছবিটা মাটিতে পরে তার কাঁচগুলো টুকরো টুকরো হয়ে যায়। এরপর প্রভাকর হঠাৎ ওই ছদ্মবেশী ভদ্রমহিলাকে বলে ওঠে আপনাকে খুব চেনা লাগছে। আর তখনই ঐশানী নিজের আসল রূপে ফিরে আসে আর প্রভাকরকে বলে ‘চেনা মানুষই অচেনা হয়ে যায়। আপনার আসল রূপটা আমি ধরে ফেলেছি প্রভাকর ঘোষ’। প্রভাকর এভাবে ঐশনীকে দেখে চমকে ওঠে। তবে ঐশানী সত্যিই প্রভাকরকে ধরতে পারবে কিনা তা সময়ের সাথেই জানা যাবে।