আমরা এখন অনেক ব্যস্ত। আমাদের ধৈর্য নেই। রান্না হোক কিংবা যে কোনো কাজেই হোক। তাই তো আমরা উনান থেকে গ্যাস কিংবা ইলেকট্রনিক যন্ত্রতে রুপান্তরিত হয়েছি। শিলনোড়া থেকে মিক্সি তে রুপান্তরিত হয়েছি। তবে যতই আমরা মিক্সি ব্যবহার করি না কেন, আসল রান্নার স্বাদ ও গন্ধ কিন্তু শিলনোড়ার বাটা মশলাতেই। আজকাল তো এইসব বাটার ঝামেলাও ফোরাচ্ছে, এখন প্যাকেটে করেই বিক্রি হচ্ছে বাটা মশলা। কিংবা ড্রাই পাউডার। কিন্তু উপায় কী? আজকের মহিলারা কেউ স্রেফ রান্না করেই ক্ষান্ত নন।
ঘরে-বাইরে সব জায়গাতেই অনুপমা। তাই তাড়াতাড়ি রান্না করতে গুড়ো মশলাকেই সম্বল করতে হয়। কিন্তু আজ আপনাদের এই সমস্যা থেকে মুক্তির পথ বলব। খাবারের স্বাদ আর গন্ধ বাড়াতে গুড়ো মশলার প্রয়োজন নেই। বাটা মশলাতেই বাড়বে রান্নার স্বাদ। ভাবছেন প্রতিদিন বাটব কী করে? খোসা ছাড়ানো, তারপর ধুয়ে সেটাকে বাটা অনেক ঝামেলা। সময়ের মধ্যে সব হবেনা। এসব চিন্তা দূর করুন। আপনারা যদি ছুটির দিনে একসাথে অনেকটা আদা রসুন বেটে (Ginger Garlic Paste) রাখেন তাহলে কেমন হয়?
এবার ভাবছেন বেটে তো রাখলাম। কিন্তু তা ভালো রাখব কী করে? আসুন আজ এমন একটি দুর্দান্ত উপায়ের কথা বলব আপনাদের। যা প্রয়োগ করে আপনি আপনার বাটা মশলা ৬ মাস পর্যন্ত ঠিকঠাক রাখতে পারবেন।
প্রথমেই আসা যাক, কীভাবে ১ – ২ মাস সংরক্ষণ করবেন?
আদা ও রসুনের খোসা ছাড়িয়ে মিক্সার জারে দিন, তারপর এতে ২ চামচ সরষের তেল দিয়ে দিন। পেস্ট করুন। পেস্ট হয়ে গেলে সামান্য নুন দিয়ে এয়ার টাইট কন্টেনারে করে ফ্রীজে রেখে দিন। এই পেস্ট আপনি ২ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন।
চার থেকে পাঁচ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করার পদ্ধতি :
আদা ও রসুনের খোসা ছাড়িয়ে মিক্সার জারে দিন, তারপর এতে ২ চামচ সরষের তেল দিয়ে দিন। এতে নুন মেশান। এবার ফ্রিজে বরফ রাখার ট্রের খোপে পেস্ট গুলি দিন। এরপর প্লাস্টিক র্যাপার দিয়ে ট্রেটিকে মুড়ে, এয়ার টাইট জিপ ব্যাগে করে ফ্রিজে রাখুন। প্রয়োজন মত রান্নায় ওই কিউব গুলো বের করে ব্যবহার করুন।
আরও পড়ুনঃ বাপ বাপ বলে পালাবে ময়লা, এই কাজ করলেই নোংরা মিক্সিও হবে ঝকঝকে পরিষ্কার
ছয় মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করার পদ্ধতি :
আদা ও রসুনের খোসা ছাড়িয়ে ২ চামচ সরষের তেল দিয়ে ভালো করে মিক্সার জারে বেটে নিন। এরপর ওর মধ্যে নুন ও চার চামচ ভিনিগার মেশান। এরপর এয়ার টাইট কন্টেনারে করে ফ্রীজে রেখে দিন। এই পেস্ট আপনি ৬ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন।