‘আ’ এ ‘আম’, ‘আ’ এ ‘আনারস’, ‘আ’ এ ‘আমড়া’, ‘আ’ এ ‘আচার’ রসাত্মক খাবার গুলোর সব খাবারই যেন আ দিয়েই শুরু। সব কিছু খাবার ছেড়ে যদি আসা যায় আচারের কথা তাহলে দেখা যাবে, আট থেকে আশি সকলেই আচার প্রেমী মানুষ। আচার খেতে ভালোবাসেন না, এমন মানুষ খুবই কম দেখা যায়। আচার (Pickle) তো বিভিন্ন প্রকার হয়, আমের আচার, তেঁতুলের আচার, লেবুর আচার, লঙ্কার আচার আরও কতরকমের আচার।
আর এই আচার যখন মুসুরির ডাল কিংবা মুগের ডালের সাথে মিশিয়ে ভাতের সহযোগে আলু আর আচার মিশ্রিত ডাল কিংবা, আচার মিশ্রিত ভাতের সাথে ডাল সহযোগে খাওয়া হয়, তখন সে খাবার হার মানায় বড় বড় রেস্তোরার খাবার কে। হার মানায় বিরিয়ানি কিংবা মাংস-ভাত কে। তবে এই আচারের মাধুর্য এবং খাবারের তৃপ্তিময়তা অনুভব করতে গেলে দরকার আচারের। আর এই আচার বছরের পর উপভোগ করতে প্রয়োজন আচারকে ভালো করে সংরক্ষিত করা। কিন্তু কীভাবে করবেন সেই সংরক্ষণ আসুন জেনে নেওয়া যাক।
আচার কিভাবে সংরক্ষণ করবেন (How to store Pickle)
প্রথমত, আচার রাখতে হবে কাচের জারে, কারণ প্লাস্টিক জারে যদি আচার রাখেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আচার খারাপ হয়ে যাবে। আর খেয়াল রাখতে হবে, যে জারে আচার রাখবেন সেই জারে ভালো করে মুছে নিতে হবে, তাতে যেন একটুকুও জল না লেগে থাকে।
দ্বিতীয়ত, আচারে তেল বেশি করে দিতে হবে। আচারকে ভালো রাখতে তেলের ভূমিকা অপরিহার্য। আচারে বেশি তেল থাকার কারণে, বাতাস প্রবেশ করে ব্যাকটেরিয়া জন্মায় না। এছাড়াও সঠিক পরিমাণে যদি লবণ দেওয়া হয়, তাহলেও ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর সম্ভাবনা থাকে না।
আরও পড়ুনঃ ১১০০ টাকা ছাড়িয়েছে সিলিন্ডারের দাম! গ্যাসের খরচ কমাতে রান্নার সময় মেনে চলুন এই ৫ টিপস
তৃতীয়ত, আচার তোলার জারে বড় চামচ রাখতে হবে। কারণ ছোটো চামচ রাখলে আচারে হাতের স্পর্শ ঘটবে। হাতের স্পর্শ ঘটলে, আচার তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। আর যে চামচটা রাখবেন, তাতে যেন একটুকুও জলের চিহ্ন না থাকে , ধুয়ে মুছে পরিস্কার করে রাখতে হবে।
চতুর্থত, দিনে এক ঘন্টার জন্য আচারকে সূর্যের তাপে রাখতে হবে। আর সারাক্ষণএর জন্য ফ্রিজে যদি আচার রাখা যায় তাহলে ফাঙ্গাস জন্মাতে পারবে না। আচার ভালো থাকবে।
পঞ্চমত, আচারের তেল শেষ হয়ে গেলে, নতুন তেল ফুটিয়ে আচারে দিতে পারেন। এছাড়া আচার যদি পুরানো হয়ে যায়, তাহলে নতুন করে আচার তেলে ফুটিয়ে জারে সংরক্ষণ করে রাখবেন। তাহলেও নতুনের মত আচার খেতে লাগবে।
আচার সর্বদা ভারী কোনো বয়ামে রাখার চেষ্টা করুন। আচার নেওয়ার জন্য আলাদা চামচ ব্যবহার করবেন। আচার বয়াম থেকে নেওয়ার পর আবার সমান করে তেল উপরে রাখার চেষ্টা করবেন। জল যাতে কিছুতেই আচারের সংস্পর্শে না আসে সেদিকে খেয়াল রাখতেই হবে।