অনেকদিন ধরেই স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chowa) ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে দীপা আর সূর্যর কিছুতেই মিল হচ্ছেনা। এই মিল না হওয়ায় একদিকে যেমন দীপা-সূর্যর জীবনে খারাপ প্রভাব পড়ছে, অন্যদিকে তাদের দুই মেয়ে সোনা-রূপার জীবনেও খারাপ প্রভাব পড়ছে। রূপা নিজেকে এই পরিস্থিতির সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারলেও সোনা পারেনা। এই অল্প বয়সে রূপা অনেকটাই ম্যাচিউর, কিন্তু সোনা এখনও ছোটোই আছে।
আসলে সোনা খুব সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে মানুষ, রূপা ছোটো থেকেই দেখেছে পরিবারের আর্থিক দিকটা কেমন, তাই সে অল্প বয়সেও পরিণত। দিন যতই এগোচ্ছে বেড়ে চলেছে দূরত্ব। সোনা খুবই অসহায়তায় ভুগছে। মাকে কাছে পেলে বাবাকে পায় না, আর বাবাকে কাছে পেলে মাকে পায়না। আর তাই দুজনকে এক করতে মরিয়া। বাবার ভালো বন্ধু মিশকা। তাই বাবা-মাকে এক করতে সোনা মিশকার শরণাপন্ন হল। আর মিশকা এই সুযোগকেই হাতিয়ার বানাল।
পচা আন্টি যে কিছুতেই ভালো কোনো কাজ করবে না, রূপা তা আন্দাজ করতে পারে, তাই লাবণ্য সেনকে সবটা জানায়। আর রূপার কথায় অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল। মিশকা দীপার বাড়ি যায়, দীপাকে রাজি করানোর নাটক করে, দীপার পায়ে পর্যন্ত ধরতে যায়, নাটক শেষ হলে রেকর্ডিং অফ করে দেয়। দীপাকে জানায়, এই রেকর্ডিং টা সূর্যকে দেখাব। দেখিয়ে বলব, সোনা জন্য দীপাকে রাজি করাতে গিয়েছিলাম, কিন্তু এই দ্যাখ রাজি হল না।
দীপা ফোনটা ছুড়ে ফেলে দেয়। ফোনটা তুলে দীপাকে মিশকা চ্যালেঞ্জ জানায়, সে কোনোদিনও সেনগুপ্ত বাড়ির বউ হতে দেবেনা দীপাকে। এই সমস্ত কার্যকলাপ রূপা এবং লাবণ্য সেনগুপ্ত দরজার আড়াল থেকে শোনে। মিশকার সামনে উপস্থিত হয়। মিশকাকে জানিয়ে দেয়, দীপা একা নয়, দীপায সাথে লাবণ্য সেনগুপ্ত আছে।
আরও পড়ুনঃ অনুরাগের ছোঁয়া সিরিয়ালের সকল নতুন আপডেট পেতে এখানে ক্লিক করুন
মিশকা তো হাল ছাড়বে না, সূর্যকে গিয়ে দেখাবেই, আর বোকা সূর্য, নিজের স্ত্রীর থেকে বেশি বিশ্বাস করে প্রাণের প্রিয়া শয়তানি বন্ধু মিশকাকে। তবে এবার তো লাবণ্য সেনগুপ্ত সবটা চাক্ষুস দেখেছে। আদৌও কি মিশকা নিজের পরিকল্পনা সফল করতে পারবে? এর উত্তর মিলবে আগামী এপিসোড গুলোতে।