স্টার জলসার (Star Jalsha) অন্যতম চর্চিত একটি ধারাবাহিক হল ‘গুড্ডি’ (Guddi)। এই ধারাবাহিক সবসময় থাকত সমালোচনার শীর্ষে, দর্শকরা সবসময় বলেছেন, ধারাবাহিকে পরকীয়া দেখানো হচ্ছে, নোংরামি হচ্ছে, আর তাই ধারাবাহিকের প্রধান চরিত্র অনুজ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে সকলেই আঙুল তুলেছে। অনুজ একবার চায় গুড্ডিকে একবার চায় শিরিনকে। তবে এখন অনুজের জীবনে এসব অতীত।
কারণটা সকলেই জানেন, যারা ধারাবাহিক দেখেন। এখন গুড্ডির জীবনে এসেছে নতুন কেউ। এতদিন অনুজ রাজত্ব করছিল। আর তাই লেখিকা বেশ কায়দা করেই গুড্ডির জীবনে এনেছেন যুধাজিৎকে। এই যুধাজিৎের সঙ্গেই বিয়ে হয় গুড্ডির। সেটাও অনেক ঝড়-ঝাপটা পেড়িয়ে। তবে এই বিয়ে মেনে নিতে পারেননি অনুজ। পাশাপাশি গুড্ডিকে একেবারে সহ্য করতে পারেনা শিরিন।
আর তাই গুড্ডির জীবনকে শেষ করতে উদ্যত সে। আর তাই ঠান্ডা মাথায় খুনের চেষ্টা করে। আর তাই গুড্ডিকে বিষাক্ত ওষুধ খাওয়ায়। খাওয়ার পরেই গুড্ডির শরীর অবশ হয়ে যেতে থাকে। কিন্তু তারপরও শিরিন ফলের রসের সাথে ওই বিষাক্ত ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ায়। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে। মুখ থেকে ফেনা বেরোয়। সবাই ভাবে গুড্ডির হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। কিন্তু এর পিছনে যে শিরিনের হাত রয়েছে, একথা সবাই কবে জানতে পারে সেটাই দেখার।
এই দৃশ্য দেখে সকলেই বেশ ক্ষুব্ধ শিরিনের উপর। তাই তারা বলছেন, এটা নারকীয় হত্যাকাণ্ড , শিরীন আসবে জেনেও অনুজ কেনো শিরিনের ওপর ভরসা করে গুড্ডি কে একা রেখে গেলো?? অনুজ নিজের স্ত্রীর চরিত্র তো খুব ভালো করে জানত । এরপরই তারা প্রশ্ন তুলেছেন, একটা বিপজ্জনক ওষুধ শুধুমাত্র ভিসিটর এর কথায়, নার্স ফেলে রেখে চলে যেতে পারে কি?
এক নেটিজেন তাই বলছেন, ‘ঠাণ্ডা মাথায় খুন / খুনের চেষ্টা, এই ঘৃণ্য অপরাধের কিন্তু আইনের বিচারে চরম শাস্তি হওয়ার কথা ! আশা করবো লেখিকার কলম তার ‘মানসকন্যা শিরীন’ কে শাস্তি দিতে পক্ষপাত করবেন না। একজন শিক্ষিত পরিবারের মেয়ে হয়ে শুধুমাত্র একজন পুরুষ কে পাওয়ার জন্য এই কাজ করা কি সমীচীন ? কোনটা বেশি অপরাধের একজনকে ভালোবাসা (গুড্ডি ) নাকি একজনকে খুন করা (শিরীন)’।