বর্তমান সময়ের রুচিসম্পন্ন ধারাবাহিক ‘মেয়েবেলা’, চাঁদনী-ডোডোর সমীকরণ প্রশংসিত দর্শকমহলে!

অনেক ধারাবাহিক আছে, যা থেকে সত্যিই কিছু শেখা যায়না। একটা গোঁড়া জিনিস দর্শকদের সামনে তুলে ধরে। এর ফলাফল হিসেবে ধারাবাহিককে তিরস্কৃত হতে হয়। অনেকেই অভিযোগ

Saranna

netizen praised meyebela chandni and dodo's relationship

অনেক ধারাবাহিক আছে, যা থেকে সত্যিই কিছু শেখা যায়না। একটা গোঁড়া জিনিস দর্শকদের সামনে তুলে ধরে। এর ফলাফল হিসেবে ধারাবাহিককে তিরস্কৃত হতে হয়। অনেকেই অভিযোগ তোলেন ধারাবাহিক থেকে কিছু শেখা যায়না, বাড়ির সবার সাথে একসাথে বসে দেখা যায়না ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু যখন শিক্ষণীয় ধারাবাহিক সকলের সামনে আসে, তখনই সেই ধারাবাহিককে মাথায় তুলে রাখে।

এরকমই একটি ধারাবাহিক হল ‘মেয়েবেলা’ (Meyebela)। স্টার জলসার (Star Jalsha) অন্যরকম এক ধারাবাহিক, যেখানে রয়েছে নারী চরিত্রের বিভিন্ন শেড। নারীর মন যে কত রকম হতে পারে, নারী কোন পরিস্থিতিতে কিরূপ হতে পারে সবটাই এই ধারাবাহিকে বর্ণিত। একেবারে বাস্তব পরিস্থিতির দিকটা সকলের সামনে তুলে ধরে। সম্প্রতি ধারাবাহিকের এমন এক কাহিনী তুলে ধরা হল, যা দেখে বেশ প্রশংসাই করছেন দর্শকরা।

netizen praised meyebela chandni and dodo's character

ধারাবাহিকের কাহিনী অনুযায়ী ডোডোর সাথে ১২ বছরের প্রেমজ সম্পর্ক ছিল চাঁদনীর। কিন্তু ভাগ্যচক্রে ডোডো চাঁদনীকে ছেড়ে মৌয়ের সাথে বিয়ের পিঁড়িতে বসে। এরকমটা অন্য ধারাবাহিকে হলে, অপরজন সতীন হয়ে ঘাড়ে চেপে বসে। কিংবা খল চরিত্র হয়ে জীবন নষ্ট করে দেয়। কিন্তু চাঁদনী চরিত্রটি অন্যরকম। আর তাই বেশ প্রশংসিত হচ্ছে চাঁদনী দর্শকমহলে।

রাস্তায় চাঁদনী আর নির্ঝরের দেখা হলে, দুজনেই দুজনের প্রতি সম্মান রেখে কথা বলে। দুজনেই দুজনকে জিজ্ঞাসা করে ভালো আছে কিনা। চাঁদনী নির্ঝরকে জানায়, ‘নির্ঝর তোমার জীবনের সবটা নতুন হচ্ছে, দেখো সব ভালো হবে’। চাঁদনীর মুখে এই কথা শুনে অনুরাগীরা আবেগে ভাসছেন। তারা বলছেন, ‘নির্ঝর আর চাঁদনীর কথোপকথন ভীষণ ভালো লাগল।

কি মার্জিত অভিনয়। কোথাও এতটুকু বাড়াবাড়ি নেই। এই ত্যাগের মধ্য দিয়ে ওরা ভালো থাক’। অনেকেই দর্শকদের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, সবটাই ঠিক আছে। জীবনের কিছু কিছু ঘটনা থাকে যেগুলো মানুষ চাইলেও সহজে ভুলতে পারে না। তাই আশা রাখবো রাইটার যেন চাঁদনী আর নির্ঝর এর ব্যাপারটা সৌজন্য মুলক রাখেন তার কলম যেন অন্য কিছু না খোঁজার চেষ্টা করে।

Related Post