মাকে উপেক্ষা করে শিমুলের হয়ে প্রতিবাদী পরাগ, প্রথমবার তার আচরণে বেজায় খুশি দর্শক

জি বাংলার (Zee Bangla) সদ্য শুরু হওয়া ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। শুরু থেকেই এই ধারাবাহিক নানান সমালোচনায় পড়েছে

Nandini

in kar kache koi moner kotha serial parag talk for shimul against his mother

জি বাংলার (Zee Bangla) সদ্য শুরু হওয়া ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। শুরু থেকেই এই ধারাবাহিক নানান সমালোচনায় পড়েছে বারংবার। তবে এই ধারাবাহিক ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তাও পেয়েছে। শিমুল এর চরিত্র দর্শকের বেশ পছন্দ হয়েছে। অন্যদিকে, পরাগ আর তার মায়ের ব্যবহারে চরম অতিষ্ট দর্শক। বাস্তবতা মিশে থাকলেও ধারাবাহিকে শিমুলের প্রতি তার শাশুড়ির আচরণ মোটেও পছন্দ নয় দর্শকের।

আর তাই বারংবার এই ধরণের নোংরামো, বাড়ির বউয়ের প্রতি অত্যাচার বন্ধের দাবিতে সরব হয়েছেন দর্শক। এমনকি ধারাবাহিক বন্ধের জন্যও বেশ কয়েকবার ডাক দিয়েছিলেন দর্শক। তবে ধারাবাহিক বন্ধ এড়াতে গল্পে আনা হয়েছে নতুন মোড়। ধারাবাহিকে এতদিন গল্পের একটা পিঠ দেখানো হচ্ছিল যা দেখে দর্শক বিচার করছিলেন এবার অপর পিঠের গল্পটাও সামনে আনছেন লেখিকা।

in kar kache koi moner kotha serial writer change the story

অর্থাৎ, শিমুলের (Shimul) শাশুড়ির তার বৌমার প্রতি এহেন আচরণের কারণ স্বরূপ শিমুলের শাশুড়ির অতীত আনা হচ্ছে পর্দায়। শিমুলের শাশুড়ি শিমুলের কাছে নিজের দুঃখের কথা নিজের যন্ত্রনা ভরিয়া অতীতের কথা শোনাচ্ছেন।যেখানে তাকে নানাভাবে, নানা বাহানায় যখন তখন অপমানিত হতে হত, অত্যাচারিত হতে হত। শিমুল তার শাশুড়ির মনের কষ্টটা একটু একটু করে উপলব্ধি করছে। দর্শকও শিমুলের শাশুড়ির প্রতি হওয়া অত্যাচারের কথা শুনে বেশ কষ্ট পেয়েছেন।

আসলে শাশুড়িও যে কখনও বউ ছিলেন আর তার জীবনেও এমন কঠিন বাস্তব থাকতে পারে তা হয়ত নিজের জীবনের প্যাঁচে মানুষ ভাবতেই ভুলে যায়। তবে সকলেই আসলে পরিস্থিতির শিকার। দোষ ঠিক কাউকেই দেওয়া চলেনা। এদিকে একদিকে যেমন শিমুলের শাশুড়ির অতীত কাহিনী সামনে আসছে অন্যদিকে আবার, প্রথমবার পরাগ (Parag) শিমুলের হয়ে মায়ের সাথে কথা বলেছে। এই দৃশ্য দেখে, দর্শক ভীষণ খুশি হয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ শুরু থেকেই চরম ট্রোলড, তাই বদলে যাচ্ছে ‘কার কাছে কই মনের কথা’র গল্প!

in kar kache koi moner kotha serial parag stand for shimul

শিমুল এখন রান্নাঘরের দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিয়েছে। সে সকলের জন্য অন্যরকম খাবার বানিয়েছে। যা শিমুলের শাশুড়ির মোটেও পছন্দ নয়। পরাগ খেতে বসে দুবার বেশি চেয়ে খেয়েছে বলে শিমুলের শাশুড়ি তাকে যাচ্ছেতাই অপমান করতে থাকে। আর তাই দেখে পরাগ তার মা কে বলে মাসে যদি দু-তিনবার ভালো-মন্দ হয় তাহলে কি খুব কম পড়ে যাবে?” পরাগের এই কথাগুলো শুনে তার মা মোটেও খুশি নন, তবে এই প্রথমবার পরাগের ব্যবহারে একটু হলেও ভালো লেগেছে দর্শকদের।

× close ad