Kar Kache Koi Moner Katha : জি বাংলার (Zee Bangla) সবচেয়ে বেশি চর্চিত সিরিয়াল হল ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Katha)। এই সিরিয়ালে শুরু থেকে সমালোচনা মূলক কাহিনী দেখা যাচ্ছে। কখনও ছেলের ফুলশয্যায় মায়ের বাঁধা দেওয়া, তো কখনও আবার একজন শিক্ষকের স্ত্রীর প্রতি অমানবিক অত্যাচার। আর আছে স্বামীর পরকীয়ার গল্প। শিমুল তার অভিশপ্ত জীবন থেকে এখনও সম্পূর্ণ বেরিয়ে আসতে পারেনি।
আর তার মাঝেই বিপাশার জীবনে এল একটা বড় ঝড়। যা বিপাশার দীর্ঘ জীবনের ভালোবাসা, সাজিয়ে তোলা সংসারকে ধূলিস্যাৎ করে দিয়েছে নিমেষে। শিমুলরা কিছুদিন আগেই জানতে পারে যে বিপাশার স্বামী চন্দন তাকে ঠকাচ্ছে। বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও চন্দনের আরেকটা স্ত্রী আর একটা বাচ্চা মেয়ে আছে। এমন একটা ঘটনা সকলের কাছেই খুব অবাক করা ছিল। কিন্তু যেটা সত্যি সেটা কি আর পাল্টানো যাবে?
বিপাশা প্রথমে শিমুল, সুচরিতা, স্নিগ্ধা এদের কথা বিশ্বাস করেনি। সে পারেনি তার এতদিনের ভালোবাসার মানুষটাকে অন্যকারুর কথায় অবিশ্বাস করতে। কিন্তু শিমুলদের কথায় কোথাও সত্যতা ছিল যা বিপাশা একবার যাচাই করে নিতে চেয়েছিল। সে চন্দনকে সরাসরি এই বিষয়ে জানতেও চেয়েছিল। কিন্তু চন্দন সত্যি বলেনি। উল্টে বিপাশাকে শিমুলদের থেকে দূরে করতে চেয়েছে।
আরও পড়ুনঃ জীবিত বাবার শ্রাদ্ধ! ‘নিম ফুলের মধু’র পর্ব দেখে বয়কটের ডাক ক্ষিপ্ত দর্শকদের
চন্দন বিপাশাকে এমন ভাবে ভুল বুঝিয়েছিল যে, সে ধরেই নিয়েছিল বিপাশা তার কথা চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করবে। কিন্তু বিপাশা শুধু নিজের বিশ্বাস পোক্ত করতেই নয় বরং বাকিদের চন্দনের প্রতি যে অবিশ্বাস সেটা ভাঙার জন্য শিমুলদের সাথে মধুমিতার কাছে এসেছিল। কিন্তু, সেখানে বাড়ির বেল বাজাতেই দরজা খোলে স্বয়ং চন্দন। বিপাশার কাছে সবটা পরিষ্কার হয়ে যায়।
তার দীর্ঘদিনের বিশ্বাস নিমেষে ভেঙে যায়। চন্দন ধরা পড়ার পরেও চেয়েছিল বিভিন্ন রকম কথা বলে বিপাশাকে ভুল বোঝাতে কিন্তু সে নিজের মিথ্যেতে নিজেই জড়িয়ে যায়। বিপাশা চন্দনের আসল রূপটা চিনে ফেলে। মধুমিতা আর তার সন্তানের কথা ভেবে বিপাশা জানায় সে চন্দনকে ডিভোর্স দিয়ে দেবে। যাতে চন্দন স্ত্রী-মেয়ে নিয়ে সংসার করতে পারে। তবে এবার দেখার সত্যিই কি বিপাশা ডিভোর্স দেবে? নাকি চন্দনকে মোক্ষম শাস্তি দেবে?