Kar Kache Koi Moner Katha : সব বাংলা ধারাবাহিক (Bengali Serial) পরকীয়া নির্ভর হয়না। কিছু কিছু ধারাবাহিক এমন রয়েছে যেখান থেকে মানুষ অনুপ্রেরণা পায়। যেখান থেকে মানুষ বাঁচার অন্য পথ খুঁজে পায়। তেমনই একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল জি বাংলার (Zee Bangla) ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Katha)। ধারাবাহিকের নামের সাথে শিমুলের জীবন মিলে গেলেও শিমুল অবলা নন, শিমুল প্রতিবাদী।
শিমুলের পাশাপাশি শিমুলের শাশুড়ি মধুবালা দেবীও প্রতিবাদী। ধারাবাহিকের কাহিনী অনুযায়ী, শিমুল এবং শতদ্রুকে মিথ্যা ফাঁসায়, পরাগ আর পলাশ। পলাশের সাথে প্রতীক্ষাও জড়িত। শিমুল এবং শতদ্রু আসল দোষীর খোঁজ করে। তার জন্য শিমুল থানায় ডায়েরী করে। পুলিশ এসে ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে যায়, পরাগ আর প্রিয়াঙ্কাকে গ্রেফতার করে।
আসল দোষীর খোঁজ পেয়ে শিমুল পরাগদের বাড়ি ছেড়ে যেতে চায়। শিমুল জানিয়ে দেয় সে শতদ্রুকে বিয়ে করবে। কিন্তু পুতুল এবং মধুবালা দেবী শিমুলকে ছাড়তে চায়না, শিমুল পুতুলদি আর মধুবালা দেবীর কথা রাখতে ওই বাড়ি রয়ে যায়। শতদ্রু বলে যতদিন না পরাগ ডিভোর্স দিচ্ছে, যতদিন না শিমুল আমার কাছে আসছে ততদিন পর্যন্ত শিমুল ওই বাড়িতেই থাকুক। শিমুল মধুবালা দেবীকে বলে, আপনার ছেলে জেল থেকে এলে যেন আমাকে ডিভোর্স দেয়।
মধুবালা দেবীও কথা দেয় ডিভোর্স হয়ে গেলে তার আর শতদ্রুর বিয়ে দেবে। জেল থেকে ফিরে পরাগের মতিগতি বদলে গেল। মধুবালা দেবীও জানিয়ে দেয়, নেক্সট দিন থেকে শিমুল আমি আর পুতুল আমরা আলাদা খাব। আর পরাগ, পলাশ , প্রতীক্ষা আলাদা খাবে। পরাগ এই কথা শুনে জানিয়ে দেয়, মাইনের অর্ধেক টাকা এবং শিমুলকে যে টাকা দিত, সেটা সে দেবে না।
তখন মধুবালা দেবী বলেন টাকার দরকার নেই। তখন পরাগ বলে, তাহলে তোমাদের কি করে চলবে? শতদ্রুর কাছে হাত পাতবে? মধুবালা দেবী জানায়, নিজের ছেলের কাছে হাত পাতিনি আর ওর কাছে হাত পাতব। আগামী পর্বে দেখা যাচ্ছে, শিমুলের সিদ্ধান্তে শতদ্রু রেগে আছে। শাশুড়ির কথা শুনে আবার তুই ওই বাড়িতে থেকে গেলি? পরে যদি ও বেঁকে বসে। শতদ্রুর এই কথা শুনে শিমুল রেগে যায়। শতদ্রুকেও কি শিমুল আবার ভুল বুঝবে?