টেলিভিশনের পর্দায় এমন কিছু ধারাবাহিক আছে যাদের গল্প বেশ ভালো। তবে টিআরপিতে সেইসব সিরিয়াল এক থেকে পাঁচের মধ্যে জায়গা করে নিতে পারেনা। যেমন জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। অভিনেত্রী মানালি দে (Manali Dey) এখানে মূল চরিত্র। ধারাবাহিকের কাহিনী বেশ ভালো, সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সাড়া ফেলেছে, কিন্তু টিআরপি তালিকায় এর জায়গা নয় থেকে দশে। তবে সকলে আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন নিজেদের ১০০ শতাংশ দিতে।
টিআরপির প্রভাব কি শুধুই চ্যানেল কর্তৃপক্ষের উপরেই পরে? নাকি কলাকুশলীদের উপরেও পরে? স্টার জলসায় শুরু হয়েছিল ‘মেয়েবেলা’, সেটাও ছিল নারী কেন্দ্রীক। তার ট্যাগ লাইন ছিল ‘মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু’। এই ট্যাগলাইনের বিপক্ষে গিয়ে জি বাংলা নিয়ে এল ‘মেয়েরাই মেয়েদের বন্ধু’। সেই বন্ধু কোনো ছোটোবেলার বন্ধু নয়, নতুন জীবনে নতুন পরিবেশে কয়েকদিনের আলাপের বন্ধু।
জি বাংলার এই ধারাবাহিকে দেখা গেছে, শিমুল একজন সদ্য বিবাহিতা নারী, নতুন পরিবারের সদস্য। শ্বশুরবাড়ি এসে থেকেই বিভিন্ন রকম সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে শিমুলকে। শুনতে হয় শাশুড়ি, দেওর, স্বামীর খোঁটা। কেউ পাশে নেই আপনজনেরা। শুধু রয়েছে প্রতিবেশী তিন নারী বন্ধু। যারা তার নিজের কেউ নয়, প্রতিবেশী মাত্র। ক্ষণিকের আলাপেই তারা শিমুলের বন্ধু হয়ে উঠেছে। শ্বশুর বাড়িতে যেভাবে শিমুলকে অত্যাচার সহ্য করতে হয়, তার সাথে বাস্তবে এই ধরণের পরিস্থিতির সাথে লড়াই করা কিছু শিমুলরা নিজেদের জীবনের মিল খুঁজে পান।
কিন্তু তা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত টিআরপি তালিকায় প্রথম পাঁচে ধারাবাহিকটি স্থান পায়নি। এ প্রসঙ্গে কী বললেন অভিনেত্রী মানালী? তার কথায়, ‘লোকের ভালো লাগছে এটাই আসল। এতে কাজ করার ইচ্ছা টা আরও বেড়ে যায়। দর্শকদের ভালো না লাগলে কাজ করার ইচ্ছা চলে যায়। সত্যি কথা বলতে আমি কখনো টিআরপি নিয়ে মাথা ঘামাই না। কিন্তু ভালো ফলাফল পেতে কার না ভালো লাগে। তাই দুটো ক্ষেত্রেই ভালো হওয়া চাই’।
আরও পড়ুনঃ শুরু থেকেই চরম ট্রোলড, তাই বদলে যাচ্ছে ‘কার কাছে কই মনের কথা’র গল্প!
প্রসঙ্গত, এর আগে অভিনেত্রীর ‘গোরা ২’ সিরিজে অভিনয় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আমরা সাধারণত তাকে পজিটিভ চরিত্রে দেখে আসি। কিন্তু এখানে তাকে দেখা গিয়েছিল ধূসর, রহস্যময় চরিত্রে। মৌরি, ফুলঝুরি, শিমুল সবকটি চরিত্রই দর্শককে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা উপহার দিয়েছে। মানালি অভিনয়ে সব চরিত্রে সেরা।