KBC-তে জিতেছিলেন ৫ কোটি, জলের মতো টাকা উড়িয়ে ভাগ্যের পরিহাসে সর্বশান্ত সুশীল

ভারতীয় টেলিভিশনের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো হল কৌন বনেগা ক্রোড়পতি (Kaun Banega Crorepati)। এই শোয়ের সঞ্চালকের দায়িত্বে থাকেন বলিউডের শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bacchan)। প্রতি বছর

Saranna

kbc 5 crore winner sunil kumar lost all money now milk seller

ভারতীয় টেলিভিশনের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো হল কৌন বনেগা ক্রোড়পতি (Kaun Banega Crorepati)। এই শোয়ের সঞ্চালকের দায়িত্বে থাকেন বলিউডের শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bacchan)। প্রতি বছর বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক আসেন এই শোয়ের অংশগ্রহণ করতে। এখানে এসেই বদলে যায় তাদের ভাগ্য। এই শোয়ে এসে নিজের ভাগ্য বদলেছিলেন চম্পারণের সুশীল কুমার (Sunil Kumar)। জিতেছিলেন পাঁচ কোটি টাকা। কিন্তু এত টাকা পেয়েও সে নিঃস্ব। এই টাকাই তাঁর সুখ-শান্তি কেড়ে নিয়েছে। সুশীলের জীবনের এই দুঃখের কাহিনী শুনলে চোখে জল আসবে আপনারও।

সালটা ছিল ২০১১। কৌন বনেগা ক্রোড়পতির (Kaun Banega Crorepati) মঞ্চে অংশগ্রহণ করতে এসেছিলেন বিহারের চম্পারণের সুশীল কুমার। তাঁর ইচ্ছা ছিল আইএএস অফিসার হওয়ার। সেই পড়াশোনা, বুদ্ধি, মেধা কাজে লাগিয়ে একের পর এক তুখোড় প্রশ্নের জবাব দিয়ে কেবিসি মঞ্চে জিতে নিয়েছিলেন মোটা অঙ্কের অংকের টাকা। এই কেবিসির মঞ্চে এসেই টাকা জিতে তাঁর ভাগ্যের পরিবর্তন হয়, রাতারাতি সে সেলিব্রেটি হয়ে ওঠে।

kbc 5 crore winner sunil kumar lost all money now milk seller

কিন্তু এই জনপ্রিয়তায় তাঁর জীবনে আনে অকাল দুর্ভোগ। এই মঞ্চে জেতার পর সারা বিহারে সে জনপ্রিয় হয়ে যায়। বিভিন্ন গ্রামের মানুষ তার সাথে দেখা করতে আসেন। বিভিন্ন গ্রামের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে তার ডাক আসে। এত জনপ্রিয়তা দেখে তার বেশ দারুণ লাগছিল। কিন্তু এই জনপ্রিয়তাই যে একসময় তাঁকে নিঃস্ব করে দেবে তা বোঝেননি।

সুনীল সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর সেই করুণ দুঃখের কাহিনী শোনান, ‘আমি এলাকায় তখন ‘সেলেব্রিটি’ । ১০-১৫ দিন ছাড়া ছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে আমাকে ডেকে নিয়ে যেত। আর এর প্রভাব পড়ল, আমার পড়াশোনার ক্ষেত্রে। আমার পড়াশোনা প্রায় তখন বন্ধই হয়ে যায়’। যে টাকা আমি জিতেছিলাম একের পর এক সংস্থায় সেই টাকা বিনিয়োগ করতে করতে একসময় সব টাকা ফুরিয়ে যায়। পরে জানতে পেরেছি ওই সংস্থা ভুয়ো।

যখন বুঝতে পারলাম, এগুলো প্রতারণা , তখন অনেকটা দেরী হয়ে গিয়েছিল। আমার স্ত্রী, বাবা-মা সবাই আমাকে সাবধান করত আমি তাদের কথা শুনিনি। এই নিয়ে বাড়িতে শুরু হত অশান্তি। এত জনপ্রিয় হয়ে যাওয়ায় পড়াশোনাতেও মন বসত না তার । তাই তার আর আইএএস অফিসার হওয়াও হল না। এখন সে নিঃস্ব। এখন সে গোরুর দুধ বিক্রি করে কোনোক্রমে সংসার চালান। শূন্য জীবন থেকে হঠাৎ ধনী হয়ে যাওয়ায় এরকমটাই বোধহয় ঘটে।

Related Post