Ke Prothom Kachhe Esechhi : জি বাংলার (Zee Bangla) একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘কে প্রথম কাছে এসেছি’। এই ধারাবাহিক দিয়ে আবার ছোটো পর্দায় কামব্যাক করেছেন অভিনেত্রী মোহনা মাইতি সিঙ্গল মাদারের গল্প নিয়ে শুরু হয়েছে এই ধারাবাহিক। মোহনার বিপরীতে দেখা যাচ্ছে ‘টুম্পা অটোওয়ালি’ ধারাবাহিকের নায়ক সায়ন বসুকে।
ধারাবাহিকে মোহনার চরিত্রের নাম মধুবনী। পাঁচ বছরের কন্যাকে একা হাতে মানুষ করছে মধুবনি। স্বামী ছাড়া একা হাতে কিভাবে সমাজের সমস্ত প্রতিকূলতা পাড় করে মিহি কে বড়ো করবে সেটাই ফুটে উঠছে ধারাবাহিকে। ইতিমধ্যেই দর্শকমহলে ঋক আর মধুবনীর জুটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ছোট্ট মিহি মাতিয়ে তুলেছে ধারাবাহিকটি।
ধারাবাহিকের প্রথম প্রোমোতেই দেখানো হয়েছিল যে মিহি বস আংকেল কিংবা বলা যায় তার ভালো আঙ্কেলকে বাবা বানাতে চায়। মিহিকে একাই মানুষ করতে অভ্যস্থ হয়ে পড়েছে মধুবনী। তাই মা আর মেয়ের মাঝে আর কেউ আসুক এমনটা ভাবার অবকাশ তৈরী হতে দেয়নি কখনও। তবে মনে টানে আর মিহির সূত্রে একে অপরের সাথে মন বিনিময় করে ফেলেছে ঋক আর মধুবনী।
ঋক সেকথা স্বীকার করে নিলেও মানতে নারাজ ছিল মধুবনী। তবে সে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে। আর ঋককে মনে মনে গ্রহণ করেছে। কিন্তু সেকথা জানানোর আগেই মরণ-বাঁচন পরিস্থিতিতে পড়েছে ঋক। ঋক বাঁচবে কিনা সেই নিয়ে একটা প্রশ্নচিহ্ন তৈরী হয়েছে। তবে এই গল্পে আছে এক বিরাট টুইস্ট। মিহি মধুবনীর নিজের মেয়ে নয়। সেকথা ঘটনাচক্রে ঋকও জেনেছে। তবে সে এই সত্যি নিয়ে মধুবনীকে একটা প্রশ্নও করেনি।
ধারাবাহিকের প্রোমো দেখার পর অনুরাগীরাদের অনেকেরই মত, এই ধারাবাহিকটি একটি হিন্দি সিরিয়ালের রিমেক। হিন্দি সিরিয়ালের গল্প অনুযায়ী মধুবনী আসলে মিহির মা নয়, মিহির মাসি। বোনের মৃত্যুর পর তাঁর মেয়েকে নিজের মেয়ের পরিচয় দেবে অভিনেত্রী। তবে আদৌ কি গল্প তাই। নাকি এই সহজ গল্পের মাঝেই জড়িয়ে আছে অন্য কোনো জটিলতা? তা জানা যাবে গল্প এগোনোর সাথে সাথে।