মনে পড়ে ‘ওগো নিরুপমা’র ঊর্মিকে? ঊর্মির চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী সৌমি ঘোষ (Soumi Ghosh)। এছাড়াও অভিনয় করতে দেখা গেছে, ‘করুণাময়ী রানী রাসমণি’, ‘সীমারেখা’র মতন জনপ্রিয় সব ধারাবাহিকে। তবে তিনি অভিনয় করেছেন খলনায়িকার চরিত্রে। তিনি খলনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছেন, পরিচালকরা মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তাঁকে নিয়ে ভাবছেননা, শুধুই ভাবছেন নেগেটিভ চরিত্র।
তাই তিনি ভেবেই নিয়েছেন, এবারে কোনো অভিনয়ের সুযোগ পেলে, তিনি কখনোই নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করবেন না। দরকারে অভিনয় ছেড়ে দিয়ে পড়াশোনায় মনোযোগ দেবেন, যতদিন না ভালো চরিত্রে অভিনয় করতে পারছেন। সম্প্রতি তাঁকে দেখা যাচ্ছে, আকাশ আটের ‘শ্রেয়সী’ (Shryeoshi) ধারাবাহিকের কাজরী (Kajri) চরিত্রে। এই চরিত্রটি আপাতত নেগেটিভ নয়। দেখা যাচ্ছে, স্মৃতি শক্তি হারিয়ে তিনি পাগল হয়ে গিয়েছেন।
এই চরিত্রটি এখনও পজিটিভ আছে বলেই তিনি অভিনয় করছেন,যদি নেগেটিভ হয়ে যায়, তাহলে হয়ত তাঁকে এই চরিত্রে আর দেখা যাবেনা। তবে অভিনেত্রীর এখন যে সাফল্যিত কেরিয়ার, প্রারম্ভিক কালে এতটাও মসৃণ ছিলনা। এই জায়গায় আসতে তাঁকে অনেক কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে।
View this post on Instagram
একটা সময় গেছে, ইন্ডাস্ট্রির সকল অভিনেত্রীকে গাড়ি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তাঁকে দেওয়া হয়নি, তিনি প্রতিদিন বারাসাত থেকে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। যখন ট্যাক্সি পেতেননা তখন শিয়ালদা স্টেশনে অভিনেত্রী এবং তাঁর বাবা রাত কাটিয়েছেন। এমনকি এমনও দিন গেছে দমদম স্টেশনে নেমে গিয়েছেন, সেখানে রাত কাটিয়েছেন, তাঁর বাবা তাঁকে চাদরে মুড়ে রাখতেন, যাতে কেউ বুঝতে না পারে এটা কোনো মেয়ে।
সমাজের হিংস্র মানুষদের থেকে বাঁচাতে এই পন্থা নিয়েছিলেন। স্টেশনে রাত কাটিয়ে, সকালে স্কুল গিয়ে, স্কুল থেকে এসে আবার অভিনয়ে, এইভাবেই শুরু হয়েছিল জার্নি। তাঁর বাবা নিজের কাজ ফেলে মেয়ের সাথে ইন্ডাস্ট্রিতে এসে বসে থাকতেন। একসময় বাবার কাজ চলে যায়, পুরো সংসারের ভার পড়ে সৌমির উপর।
View this post on Instagram
তবে এখন বাবার ব্যবসাটা রয়েছে বলেই, পরিবারের আর্থিক টানাপোড়েনটা একটু কমেছে। প্রথমদিকে মায়ের সাপোর্ট পাননি, প্রথমদিন থেকেই তিনি পেয়েছেন, বাবার সাপোর্ট। তবে সময়ের সাথে সাথে মা সবকিছু মেনে নিয়েছেন। আজ অনেকটা পথ পেরিয়ে অনেকটা লড়াই করে সকলের কাছে পরিচয় পেয়েছেন সৌমি। তবে তাকে এগোতে হবে অনেকটা এটাই তার প্রার্থনা।