বাংলায় টিআরপির অভাব, তাই হিন্দি সিরিয়ালে নিজের জায়গা তৈরির করছেন লীনা গাঙ্গুলী!

লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (leena Ganguly)! এই নামটা চেনেন না এমন মানুষ খুবই কম আছেন। ধারাবাহিক প্রেমী মানুষ ছাড়াও ধারাবাহিক দেখেন না এমন মানুষও জানেন তাঁর নাম।

Saranna

leena ganguly slowly jump into hindi serial industry due to low trp in bengali serial's

লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (leena Ganguly)! এই নামটা চেনেন না এমন মানুষ খুবই কম আছেন। ধারাবাহিক প্রেমী মানুষ ছাড়াও ধারাবাহিক দেখেন না এমন মানুষও জানেন তাঁর নাম। তাঁর সৃষ্টিকর্ম দেখে মানুষরা কখনো হাসেন আবার কখনো কাঁদেন। এমনই একজন মানুষ তিনি। এক কথায় বলা যায়, লীনা গঙ্গোপাধ্যায় মানেই জনপ্রিয় সব ধারাবাহিক, অন্যদিকে লীনা গঙ্গোপাধ্যায় মানেই সোশ্যাল মিডিয়ার চর্চিত একটি নাম। 

এই মুহূর্তে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের দুটি ধারাবাহিক সম্প্রচারিত হচ্ছে স্টার জলসায়। একটি হল ‘গুড্ডি’ আর একটি হল ‘এক্কাদোক্কা’। ধারাবাহিক দুটির কাস্ট জনপ্রিয় হলেও ধারাবাহিকটি টিআরপি তালিকায় জায়গা করে নিতে পারেনি। এর আগে আরও এক ধারাবাহিক ‘বালিঝড়’ ফ্লপ হয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে অনেক প্রতিযোগিতা বেড়েছে, অনেক প্রযোজনা সংস্থা এসেছে আর সেই ভিড়ে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা (Story Writer) ধারাবাহিক আর স্থান পাচ্ছেন না।

how leena ganguly became a writer from a professor

আর তাই এবার অন্য পন্থা নিলেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। অনেক টলিপাড়ার অভিনেতা অভিনেত্রী ইতিমধ্যেই পাড়ি দিয়েছেন মুম্বাইয়ে। শুধু অভিনেতা অভিনেত্রী নন পরিচালকরাও পাড়ি দিচ্ছেন। নন্দিতা রায় এবং শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পাড়ি দিয়েছেন মুম্বাইয়ে। এবার এই তালিকায় যোগ দিলেন আরও এক পরিচালক সেটা হল লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। 

আরও পড়ুনঃ অনুরাগের ছোঁয়ার লেটেস্ট আপডেট পেতে এখানে ক্লিক করুন

অনেক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল তিনি হিন্দি সিরিয়ালে মেতে নিয়েছেন। ‘শ্রীময়ী’ শেষের পরে শুরু করেছিলেন শ্রীময়ী  ধারাবাহিকের প্রেক্ষাপটে তৈরি করেছিলেন ‘অনুপমা। এরপর ‘ইষ্টি কুটুম’ এর প্রেক্ষাপটে তৈরি করেছেন ‘ইমলি’। তবে এবার আলাদা কাহিনী নিয়ে হিন্দি ধারাবাহিক আনছেন। তবে এ বিষয়ে কোনো অফিসিয়ালি খবর আসেনি। 

why actress debolina mukherjee not seen in leena ganguly's serial

উল্লেখ্য, ছোটো থেকেই পড়াশোনার প্রতি প্রবল ঝোঁক ছিল। পাশাপাশি ছিল সাহিত্যচর্চা। ক্লাস সিক্সেই তিনি গল্প লিখেছেন। শৈশবে কমলা গার্লস স্কুলে পড়াশোনা করেছেন, এরপর সিস্টার নিবেদিতা স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। স্কুল জীবন পার করে, বাংলা বিষয় নিয়ে রামকৃষ্ণ মিশন থেকে স্নাতক হন, এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেন।  

অধ্যাপনার পাশাপাশি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করতে থাকেন। এইভাবেই চলছিল সময়টা। এর মাঝেই হঠাৎ তাঁর কাছে আবদার এল  তখন সালটা ২০০৪। ‘সোনার হরিণ’ ধারাবাহিকের জন্য লিখতে হবে, তিনি না করলেননা, লিখেই ফেললেন স্ক্রিপ্ট। ব্যস তারপর থেকেই তৈরি হল একের পর এক ধারাবাহিক। 

× close ad