বিনোদন মানুষকে আনন্দ দেয়। তাই মানুষ ভরসা রেখেছে বিনোদন মূলক চ্যানেলের উপর। আর বিনোদন মূলক চ্য়ানেলগুলোও মানুষের চাহিদা মেটানোর জন্য টেলিভিষনের পর্দায় আনছেন একের পর এক নিত্য়নতুন ধারাবাহিক, যা দেখে মানুষ বেশ আপ্লুত। তাই তো আমরা দেখি একের পর এক নতুন ধারাবাহিকের বহর। পুরানো ধারাবাহিকের জায়গায় এসেছে নতুন ধারাবাহিক। তেমনই স্টার জলসার পর্দায় এসেছে নতুন ধারাবাহিক ‘মাধবীলতা’ (Madhabilata)।
শুরু থেকেই এই ধারাবাহিক দর্শকদের মন কেড়েছে। এই ধারাবাহিক সোম থেকে রবি সন্ধ্যা সাড়ে আটটায় টিভির পর্দায় দর্শকেরা আনন্দ সহকারে দেখেন। ধারাবাহিকটিতে মাধবীলতা আর সবুজের জুটি দেখে বেশ পছন্দই হয়েছে। মাধবীলতা একজন গাছ প্রেমী মানুষ, সে গাছ অন্ত প্রাণ, আর সবুজ শহুরে ছেলে
এই মাধবীলতার সবুজ প্রেমকে শহুরে ছেলে সবুজ বেশ পছন্দই করে, তাইতো সবুজ ভালোবেসে ফেলে মাধবীলতাকে। বিয়ে হয়ে সবুজের সাথে। কিন্তু তাঁর শ্বশুরই যে তাঁর মায়ের হত্যাকারী সেটা মাধবীলতা জানতে পারে। বাড়ির কেউ সেটা জানেনা, এমনকি সবুজের বাবাও জানেনা। কিন্তু এবার মাধবীলতা আর পুষ্পরঞ্জন মুখোমুখি। সব সত্য সবার সামনে প্রকাশ পেতে চলেছে।
শ্বশুর বাড়ি মাধবীলতা এসে শ্বশুর কে দেখে প্রশ্ন করে, ‘উনি এখানে কি করছেন ছবি বাবু’। পুষ্পরঞ্জন বাবু জবাব দেয়, ‘আমি সবুজ চৌধুরীর বাবা’। তারপরেই জানা যায়, জঙ্গল কে জ্বালিয়ে দিতে চায়, পুষ্পরঞ্জন বাবু। আর মাধবীলতা গাছ অন্ত প্রাণ, সে জানায় এই জঙ্গল সে জ্বালাতে দেবে না। নিজের প্রাণ দিয়ে এই জঙ্গল বাঁচাবে।
আরও পড়ুনঃ কল্পনার চরিত্র নয়, বাস্তবে আছে এক ‘মাধবীলতা’! বললেন স্নেহাশিষ চক্রবর্তী
তাই আর দাঁ বা কাটারি নয় একেবারে মশাল হাতে জঙ্গলের শত্রু বিনাশ করতে ছুটে আসছে মাধবীলতা। এতো বড়ো সত্যিটা মেনে নিতে পারবে কি মাধবীলতা? বিয়ের পর ভাত-কাপড়ের সময়েই সে জানতে পারে সে অন্য কারুর নয় বরং তার বড়ো শত্রু পুষ্পরঞ্জন চৌধুরীর বাড়ির বৌ হয়েছে। তবে সবুজ মাধবীর হাত ছেড়ে দেবেনা।
আর তাই, তারপরেই দেখা যায়, ভাত কাপড়ের থালা নিয়ে মাধবীলতার কাছে সেই জঙ্গলে গিয়ে পৌঁছায় সবুজ। সে জানায়, ‘মাধবী আমি চলে এসেছি’। তখন মাধবী উত্তর দেয়, ‘আপনি চলে যান’। সবুজ যেতে চায়না, সে বলে, আমি তোমাকে ভালোবাসি। মাধবীলতা বলেন, ‘চলে যান বড়োলোকের ব্যাটা’। এরপরে কোনদিকে এগোয় সম্পর্ক এর সমীকরণ সেটাই দেখার।