জি বাংলার (Zee Bangla) মিঠিঝোরা (Mithijhora) সিরিয়ালে চলছে তোলপাড় করা পর্ব। একদিকে হাজারো বাধা পেরিয়ে অনির্বানের সাথে বিয়ের পিঁড়িতে রাই। তো অন্যদিকে বিয়ে আটকাতে মরিয়া নীলু শেষমেশ নিজেকে শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিটা পর্ব দেখতে বসে রীতিমত আঙ্গুল চেবানোর মত হাল হচ্ছে দর্শকদের। তবে স্বস্তি একটাই যে শেষপর্যন্ত বিয়েটা মিটেছে।
গতকালের পর্বেই দেখা গিয়েছিল যে অনির্বানের সাথে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেও পাত্রের মা পর্যন্ত বিয়ে ভাঙার চেষ্টায় লেগে। রয়েছে এমনকি মা ছেলের মধ্যে তর্কাতর্কি বেঁধে যায় এক পর্যায়ে। নীলুকে দেখতে হাপাতালে গেলেও অনির্বান স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে বিয়ে আজকেই হবে। কিন্তু বিয়েতে বসেও বিপত্তি। বিয়ের লগ্ন পেরিয়ে গিয়েছে তাই আর বিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। যদিও সবটাই ছিল অনির্বানের মায়ের কারসাজি।
কিন্তু কথায় আছে রাখে হরি তো মারে কে! বিয়ের মন্ডপে উপস্থিত আরেক পন্ডিত মশাই জানান রাত পৌনে ১টায় বিয়ের লগ্ন রয়েছে, তাতেই বিয়ে দেওয়া যেতে পারে। এরপর আর কি নতুন পুরোহিত মশাই নিজেই বসেন রাই-অনির্বানের বিয়ে দিতে।
আরও পড়ুনঃ ‘কে প্রথম কাছে এসেছি’ ধারাবাহিকে নতুন চমক, ‘মিহি’র আসল মায়ের রহস্য ফাঁস হল!
এরপর দেখা যায় রাইয়ের অনুরোধে তাদের বিয়েতে উপস্থিত ছিল মা। যদিও বিধবা হওয়ার কারণে কিছুতেই রাইয়ের মা আসতে চাইছিলো না। তবে শেষ পর্যন্ত রাই ও অনির্বান দুজনে মিলে দাদা ও মাকে একসাথে কন্যাদানের জন্য রাজি করায়। এমনকি পুরোহিত মশাইও তাতে সম্মতি প্রদান করেন।
শেষমেশ সমস্ত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে খই পোড়ানো, সাত পাক ঘোরা ও সিঁদুর পরিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় রাই-অনির্বান। এদিকে কিছুক্ষণের মধ্যে সকাল হয়ে যায়। তারপর নতুন বৌয়ের শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পালা। বিদায় বেলায় রাইকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেসে যায় মা। এরপর দাদাকেও অনেক কষ্টে বিদায় জানায় রাই।
তারপর গাড়িতে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে রাইয়ের মাথায় ঘুরতে থাকে মা-দাদার চিন্তা। তাছাড়া বিষ খাওয়ার পর দুশ্চিন্তা কেটে গেলেও বোন নীলু কেমন আছে সেটাও ভাবতে শুরু করে সে। তবে মন খারাপ করে বসতে দেওয়ার পাত্র যে মিস্টার অনির্বান নন! তাই নানা কথাই রাইয়ের মন ভালো করার চেষ্টা শুরু হয়। এখন আগামী দিনে কি হয় সেটাই দেখার।