জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় একটি সিরিয়াল ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu)। শুরু থেকে বরাবরই এই সিরিয়াল দর্শকমহলে বেশ চর্চিত। সৃজন এতদিন পর্ণাকে কোনোকিছুতেই সমর্থন করতে চাইত না। তার কাছে তার মা’ই একমাত্র ঠিক মানুষ ছিল আর পর্ণ শুধুই ভুল। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে পর্ণা আর সৃজনের মাঝের সম্পর্ক বদলেছে। কারণ দর্শক একভাবে সৃজন আর পর্ণার মাঝের ভুল বোঝাবুঝি নিতে পারছিলেন না।
তার মধ্যে ইশার জোর করে তাদের মাঝে ঢুকে সৃজনের মনে পর্ণাকে নিয়ে সন্দেহ তৈরী করে দেওয়া সাথে তাদের বিচ্ছেদ করিয়ে সৃজনকে নিজের বিয়ে করার পরিকল্পনা দিন দিন দর্শকদের জন্য বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। আর সেই বিরক্তি ছাপ ফেলছিল টিআরপিতে। তাই ইশার ট্র্যাকে ইতি টানা হয়েছে। ইশাকে প্রমান সহ পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে পর্ণা-সৃজন।
ইশার সত্যির সাথে সাথে মৌমিতা-অয়নের সমস্ত কুকীর্তি ফাঁস হয়ে যায় পরিবারের সামনে। জেঠু নিজের ছেলের অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতে নারাজ ছিলেন। তিনি ঘাড় ধাক্কা দিয়ে অয়ন-মৌমিতাকে বার করে দেন বাড়ি থেকে। তারা এক রাতের মধ্যে পথের ভিখিরি হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, তারা পরে যায় বড়সড় বিপদে। তারা এক পাচারকারী চক্রের হাতে পরে। সেখান থেকে তাদের বিহারে পাচার করে দেওয়া হয় এক কুখ্যাত মাফিয়ার কাছে।
আরও পড়ুনঃ ‘অভিনয় আর রাজনীতি পাশাপাশি সম্ভব নয়’, অভিনয় ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে সোলাঙ্কি!
এদিকে পর্ণা এই বিষয়টা জানতে পেরে তাদের বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পরে। দাদা-বৌদিকে সাহায্য করতে গিয়ে বর্ষাও কিডন্যাপ হয়ে যায়। উপায় না দেখে পর্ণা ছুটে যায় বিহার। তবে তার সাথে এবার দত্ত পরিবারের সব ছেলেরা গিয়ে হাজির হয়েছে। বর্ষারা কোথায় আছে তার খোঁজ বার করতে পর্ণারা নাচের ট্রুপের ছদ্মবেশ নেয়। কিন্তু সৃজন একটা মেয়ের ছদ্মবেশ নেয়। সৃজনের ছদ্মবেশ আর তার সাথে কোমর দুলিয়ে তার নাচ।
আরও পড়ুনঃ ‘বিশ্বাস করে বারবার ঠকেছি’, ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে অকপট ‘কোকো’ ইপ্সিতা
এই দৃশ্য দেখে হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছেন দর্শক। আর পাশ থেকে জেঠু সৃজনকে টিপস দিচ্ছেন আরও বেশি করে কোমড় দুলিয়ে নাচতে। নাহলে তাকে মেয়ে বলে মনে হবেনা। জ্যেঠু আর সৃজনের এমন বিচিত্র ছদ্মবেশ দর্শকের কাছে বেশ আকর্ষণীয়। সৃজন-পর্নার অবশ্য এই চাল কাজে দিয়েছে। তারা পেরেছে সকলকে উদ্ধার করতে। তবে তারা সুষ্ঠভাবে সেখান থেকে বেরোতে পারবে কিনা তা আগামী পর্বে জানা যাবে।