Neem Phooler Madhu : জি বাংলায় (Zee Bangla) রাত ৮ টা থেকে সম্প্রচারিত হয় জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘নিম ফুলের মধু’। ধারাবাহিকে পর্যায়ে আর সৃজনের জুটি দর্শকদের বেশ পছন্দের। দর্শকদের পছন্দের হলে কি হবে, সৃজনের মায়েরই পছন্দ না এই জুটি। তবে শুধু মায়ের নয়, পারিপার্শ্বিক অনেকেই আছে, যারা চায় পর্ণা আর সৃজন আলাদা হোক। আর তাই আবারও উঠে পড়ে লেগেছে পর্ণা সৃজনকে আলাদা করতে।
শ্বশুর বাড়িতে পা দেওয়ার পর থেকেই পর্ণাকে সহ্য করতে হয়েছে নানারকম অত্যাচার। কিন্তু পর্ণা সেসবে মাথা ঘামায়নি। বরং সে সবসময় চেয়ে এসেছে তাদের সাথে মানিয়ে গুছিয়ে থাকার। কিন্তু শাশুড়ি কৃষ্ণা তার ভালো দিককেও খারাপ হিসেবে দেখে। কৃষ্ণা ভাবে বাবুর মাথাটা খাচ্ছে পর্ণা। বাবুকে হাত করে নিচ্ছে। বাবুকে হাত করে নিলে বাবু আর কৃষ্ণার কাছে আসবে না।
এই ভেবেই সে আলাদা করতে চাইছে। কয়েকদিন আগেই কৃষ্ণা চেয়েছিল পর্ণা আর সৃজনের ডিভোর্স হোক। সেইসময় ডিভোর্স হয়েই যেত। কিন্তু মাঝে এসে গেল বিপদ। সেই সময় বড়সড় দূর্ঘটনা ঘটে যায় চয়নের। আর তাই ডিভোর্সটা স্থগিত হয়। কিন্তু এখন চয়নের ঝামেলা কিছুটা স্তব্ধ হয়েছে।
আর তারপরই পর্ণা আর সৃজনের বন্ধ হওয়া কেস পুনরায় চালু হয়। কাঠগড়ায় সৃজনকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কারোর চাপে পড়ে কি এই ডিভোর্সে রাজি হয়েছেন, সৃজন জানায়, না। তিনি নিজের ইচ্ছাতেই ডিভোর্স দিতে চান। পর্ণার উকিল আশা ছেড়ে দিয়েছে তাদের আর মিল হবার নয়।
তাই আর আটকানোর কথা তিনি বলবেন না। পর্ণার উকিল সৃজনকে বলে, এই ডিভোর্স যদি হয়, তাহলে আপনাকে খোরপোষ দিতে হবে। সেটা আশা করি আপনি জানেন। সৃজন অবাক হয়ে যায়। বিচারক খোরপোষ ঠিক করতে বলে পর্ণাকে। পর্ণা বাড়ি গিয়ে সৃজনকে বলে তার ৫০ লাখ টাকা চাই। এই কথা শুনে কৃষ্ণা অজ্ঞান হয়ে যায়।