যার বুদ্ধি থাকে, সে কখনো হারতে পারেনা। সবসময় জিতেই ফেরে। যতই তাকে তার শত্রুরা পরাক্রম করার চেষ্টা করুক না কেন? সে সবকিছু সরিয়ে নিজে উঠে দাঁড়াবেই। তেমনই এক চরিত্র হল জি বাংলার (Zee Bangla) ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu) সিরিয়ালের আলোকপর্ণা দত্ত। নিজের বুদ্ধির জেরে গোটা দত্ত বাড়ির ভোল পাল্টে ফেলে। এখন আর দত্ত বাড়ি নেই, দত্ত বাড়ি হয়ে উঠেছে দত্তবাড়ি হোমস্টে।
ধারাবাহিকের বর্তমান কাহিনী অনুযায়ী, পর্ণাদের উপর প্রতিশোধ নিতে ইশা নতুন চাল খেলে। সে ঠিক করে দত্ত বাড়িকে পথে বসাবে, তাই প্রথমে সৃজন আর পর্ণার স্বপ্নের শাড়ির কথা আগুনে পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়। এরপরে সে ঠিক করে, সৃজনদের পারিবারিক মশলার ব্যবসাকে ছাড়খাড় করতে। যেমন ভাবা তেমন কাজ।
সবকিছু শেষ করে দিল ইশা। এখন গোটা দত্ত বাড়ির মাথায় বইছে ঋণের বোঝা। এই ঋণের টাকা কি করে পরিশোধ করবে? আর সংসারটাই বা চলবে কি করে। তাই দত্ত বাড়ি বিক্রি করার কথা ভাবে সৃজনের জেঠু। কিন্তু পর্ণা তো তা হতে দেবেনা। আর দত্ত বাড়িতে হোমস্টে খোলে। যেখানে অনেক মানুষ এসে থাকবে, বনেদিয়ানা ব্যাপরাটা ফিল করতে। আর ঠিক সঙ্গে সঙ্গেই এসে গেছে কাস্টমার।
আরও পড়ুনঃ ‘বঁধুয়া’র স্লট ঘোষণা হতেই কপাল পুড়ল এই জনপ্রিয় সিরিয়ালের! মনখারাপ ভক্তদের
কিন্তু ঘর শত্রু বিভীষণ রয়েছে। সেই ঘর শত্রু বিভীষণটা হল মৌমিতা আর অয়ন। নতুন কাস্টমার মিস্টার এবং মিসেস বরাগ। তাদের থাকার ঘরে ইচ্ছে করে কাদামাটি লেপটে আসে মৌমিতা আর অয়ন। এই দেখে তারা খুব রাগারাগি করে, গুগুলে রেটিং কম দেবেন বলেন। এরপরে পর্ণা ঠান্ডা মাথায় বোঝায়। পর্ণা, বর্ষা, রুচিরা, সৃজন সবাই মিলে ঘরটা পরিষ্কার করে।
এরপরে মৌমিতাকে তারা চায়ের কথা বলে, সেটা সে জানায়নি পর্ণাকে। তারা আরও রেগে যায়। রাগের প্রতিফলন দেখাতে গিয়ে তারা নিজেরাই অবাক হয়ে যান। পর্ণা রেজিস্ট্রার দেখে জানতে পারেন তাদের আজ বিবাহবার্ষিকী। তাই পর্ণারা নীচে তাদের জন্য আয়োজন করেন। গিফ্ট দেয়, কেক কাটেন, দারুন মজা করার সুযোগ করে দেন। এই দেখে তাদের রাগ গলে জল হয়ে যায়। আর রাতের খাবারে আবার গন্ডগোল করলে হাতেনাতে ধরে মৌমিতাকে।