যখন নতুন ধারাবাহিকের প্রোমো ভিডিও সামনে আসে, তখন দর্শকদের উদ্দেশ্যে একটা বার্তা প্রেরণ করে, ধারাবাহিক নির্মাতারা। যা দেখে নতুন ধারাবাহিক দেখার জন্য বেশ উৎসাহিত হয় দর্শকরা। নতুন ধারাবাহিক মানেই নতুন গল্প। তাই তো প্রথম দিকে বেশ প্রশংসিত হয় নতুন ধারাবাহিক। কিন্তু পরে সেই পড়তেই হয় ট্রোলের মুখে।
ঠিক তেমনই স্টার জলসার একটি নতুন ধারাবাহিক হল, ‘এক্কা দোক্কা’ (Ekka Dokka)। শুরুতে বেশ ভালোই জনপ্রিয়তা পায়। ধারাবাহিকের জুটি নতুন। কাহিনী নতুন। দর্শকদের দেখার আগ্রহ বাড়ে। কিন্তু বর্তমানে বেশ ট্রোলড হচ্ছে। এমবিবিএস ফাইনাল ইয়ারের স্টুডেন্ট রাধিকা আর পোখরাজের প্রেমকাহিনী বর্ণিত হয় ধারাবাহিকে। পোখরাজ খেলাধূলায় দারুন, গান-বাজনায় ওস্তাদ পড়ালোনাতেও বেশ ভালো। অন্যদিকে রাধিকাও পড়াশোনায় বেশ ভালো।
রাধিকা চায় পোখরাজের থেকে ভালো রেজাল্ট করতে। যাতে রাধিকা প্রথমে থাকে। কিন্তু যখন রেজাল্ট বের হয়, তখন দেখা যায়, রাধিকাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেছে পোখরাজ। এ হেন ঘটনা দেখে রাধিকা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়, পরের বছর ওকে দেখে নেবে। এই পড়াশোনার লড়াই দিয়েই এগিয়ে চলে কাহিনী। কিন্তু ধারাবাহিকের মাঝখানে দেখা যায় অন্য কাহিনী।
পোখরাজ ভালোবাসে রাধিকাকে। কিন্তু পোখরাজের বিয়ে ঠিক হয়, রাধিকার কাকার মেয়ের সাথে। কাকার মেয়ে এই ভালোবাসার কথা জানতে পেরে, বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে যায়, ফলত বিয়ে হয়ে যায়, রাধিকার সাথে। কিন্তু রাধিকাকে কেউ মেনে নিতে পারছেন না । একদিন রাধিকাকে পোখরাজের মা এমন ঠেলে দিয়েছিল, তার মাথা ফেটে গেছে।
আরও পড়ুনঃ ‘রাধিরাজ’ লেখিকার অনবদ্য সৃষ্টি! ‘এক্কা দোক্কা’য় সোনামণির অভিনয়ের প্রশংসা করছেন অনুরাগীরা
আর এতেই রেগে যাচ্ছেন নেটিজেনরা। একজন লিখেছেন, ‘একটা মেডিকেল কলেজ পড়া মেয়ে তার ভালো মন্দটা তো বুঝতে পারে এ কেমন বোকা মেয়ে সাজিয়ে দিল’। আর একজন লিখেছেন, ‘সিরিয়াল গুলো তে এসব ফালতু জিনিস দেখেই বাস্তব জীবনেও বাড়ির বউ গুলো আরো inspire হয় আমি একটা জিনিষ বুঝে পাই না সব সিরিয়াল গুলো এরকম একই রকম স্টোরি দেখানোর মানে কি?
মানে এটা দেখাতেই হবে যে একটা মেয়ে যতই বেশি পড়াশুনা করুক যতই স্মার্ট হোক না কেনো শশুর বাড়িতে গিয়ে সেই অত্যাচার সহ্য করতেই হবে? আপনাদের মাথায় এসব ছাড়া কিছু আসে না’। আর এক নেটিজেন লেখিকার উপর রেগে গিয়ে লিখেছেন, ‘লেখিকা একজন ডাক্তারি পড়ুয়া মেয়েকে এরকম বোকা, অসহায় হিসেবে দেখিয়ে কি বুঝাতে চাইছেন, ছিঃ মানুষ কি এতটাই খারাপ হতে পারে?’