বাংলা ধারাবাহিক গুলো বাস্তব জীবনের কাহিনী নিয়েই তৈরি। যে কাহিনীতে থাকে পরিবার, যে কাহিনীতে থাকে পারিবারিক সমস্যা, পারিবারিক সম্পর্ক, প্রেম, বিরহ, দাম্পত্য জীবন। তাই তো বিয়ের দৃশ্যের পরেই দেখানো হয় হানিমুনের দৃশ্যও। এখন বাংলার ধারাবাহিকগুলোতে যেমন বিয়ের দৃশ্য দেখানো হচ্ছে, তেমনই এখন প্রায় সব ধারাবাহিকেই দেখানো হচ্ছে হানিমুনের দৃশ্য।
কেউ যাচ্ছে, দীঘা। কেউ যাচ্ছে পুরী। এই তো সম্প্রতি গাঁটছড়া গিয়েছিল গোপালপুরে, হানিমুন করতে, আবার জি বাংলার ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ ধারাবাহিক হানিমুনে গিয়েছিল দীঘায়। ‘মিঠাই’ ধারাবাহিক গিয়েছিল পাহাড়ে। এভাবেই তাদের হানিমুনের আউটিং দৃশ্য শ্যুট হত। সমুদ্রে এবার মধুচন্দ্রিমায় গেলো ‘গৌরী এলো’র (Gouri Elo) গৌরী ও ইশান।
এবার এই পথ অনুসরণ করে হানিমুনে যাচ্ছে, ‘গৌরী এলো’ ধারাবাহিক। ঈশান আর গৌরী দুজনেই বেড়াতে গেছে সমুদ্রে। হানিমুনে গৌরীকে শাড়ি ছেড়ে চুড়িদারের লুক দেওয়া হয়েছে। বেশ জমবে ঈশান গৌরীর হানিমুন। তাদের মাঝে দূরত্ব মিটতে শুরু করেছে আর তার সাথে ঘোমটা কালির ঘোমটার অংশ মাটিতে খসে পড়ছে।
এই এপিসোড দেখে খুশি হয়ে এক অনুগামী লিখেছেন, ‘আজকের এপিসোড টা গৌরী ঈশানের এত সুন্দর সুন্দর মুহুর্ত দেখলাম যে বলার বাইরে ঈশান গৌরীর দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকা তারপর সমুদ্র বালিতে দৌড়ানো একসাথে হাতে হাত রেখে তারপর নৌকাতে বসে গল্প করা সত্যি এই মুহুর্ত গুলো মন ছুঁয়ে নেওয়ার মতো মুহুর্ত।
‘আমার এই মুহুর্ত গুলো দেখে আমার মন ছুঁয়ে গেলো সত্যি এত সুন্দর মুহুর্ত গুলো আমি খুশিতে বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি ‘। তবে একদল মানুষ তাদের শুটিংয়ের এই দৃশ্য দেখে ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ ধারাবাহিকের দৃশ্য কপি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন। তারা বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুনঃ ‘বাচ্চা সামলানো অভ্যাস হয়ে গেছে’! ‘গৌরী’র সাথে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন? জানালেন বিশ্বরূপ
একজন লিখেছেন, ‘1st এর দৌঁড়ানো টা দেখে উর্মি সাত্যকি ভাবা আমি। ‘আর একজন লিখেছেন, ‘কোন সিরিয়ালের কপি করেছেন বলুন তো, প্রোডাকশন হাউজ এক বলে, কপি করবেন? নতুন কিছু দেখানো যেত না?’ প্রসঙ্গত বর্তমানে ধারাবাহিকের অনুরাগীদের মাঝে এমন দ্বন্ধ চলতেই থাকে। তারা সবটা খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন আর কোনো দৃশ্যে সামান্য মিল পেলেই কপি করার অভিযোগ করে থাকেন।