West Bengal Land Registration: নতুন জমি কিনেছেন কিংবা জমি সহ নতুন একটি বাড়ি কিনেছেন। এবার সেটিকে রেজিস্ট্রেশন করাতে চাইছেন। কিন্তু কোথায় গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করাবেন, ওই এলাকার জমি বাড়ি রেজিস্ট্রেশন এর অফিস কোথায় কিংবা রেজিস্ট্রেশন বাবদ খরচ কত হবে, কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না। শুধু তাই নয়, জমি বাড়ি রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত কর অভিযোগ জানাতে চাইলেও তা কিভাবে জানাবেন সে বিষয়ে সম্মক ধারণা নেই অনেকেই।
জমি রেজিস্ট্রির নতুন পোর্টাল ও হেল্পলাইন
এতদিন পর্যন্ত এইসব কাজ করতে হলে রাজ্যের বাসিন্দাদের নির্ভর করতে হতো রাজ্য সরকারের তৈরি সবেধন নীলমণি একটি পোর্টালের উপর। সেই পোর্টালটির ইন্টারফেস ছিল আবার যথেষ্ট দুর্বোধ্য, তাই অভিজ্ঞ মানুষ ছাড়া সেখানে কাজ করা যথেষ্ট কঠিন ছিল। তাই অনেক ক্ষেত্রেই দরকার পড়তো এই সমস্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত কোন ব্যক্তিকে। এবার সেই সমস্যা সমাধানে অগ্রণী হয়েছে রাজ্য সরকার। রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত কাজের জন্য একটি ইউজার ফ্রেন্ডলি নতুন পোর্টার লঞ্চ করেছে রাজ্য সরকার। তবে এখানেই শেষ নয়, জমি বাড়ি সংক্রান্ত সমস্যাগুলির সমাধান করার জন্য আগামী মাসের মধ্যেই নতুন হেল্পলাইন নাম্বার ও চালু করতে চলেছে রাজ্য।
সূত্র মারফত খবর, ‘ইন্টার্যাক্টিভ ভয়েস রেসপন্স’ বা আইভিআর প্রযুক্তির দ্বারা এই হেল্পলাইনটি চালু করা হচ্ছে। অর্থাৎ কোন কোন সমস্যা নিয়ে নির্দিষ্ট একটি নাম্বারে ফোন করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফ্রী রেকর্ডেড উত্তর পাওয়া যাবে। এবং কোন ধরনের সমস্যায় কি ধরনের পদক্ষেপ করলে সমাধান পাওয়া যাবে তা বাতলে দেওয়া হবে। যদিও পরবর্তী আইভিআর এর পাশাপাশি রাজ্যের অর্থ দপ্তরের অধীনে থাকা ডাইরেক্টরেট অব রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড স্ট্যাম্প রেভিনিউ’-এর আধিকারিকের সঙ্গে সরাসরি যাতে কথা বলা যায় তেমন হেল্পলাইনও চালু করার ভাবনা রয়েছে।
নতুন পোর্টালের সুবিধা
নতুন রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন, ই-ডিড রেজিস্ট্রেশন তৈরি, দলিলের সার্টিফাইড কপি প্রদান সহ একাধিক পরিষেবা অনলাইন মারফত দেওয়া চালু করেছে রাজ্য সরকার। এই বিষয়ে জানাতে গিয়ে রাজ্য সরকারের এক পদস্থ কর্তা জানালেন যে, জমি বাড়ির রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত কাজ যথেষ্ট ব্যয় সাপেক্ষ, তাই এই সব বিষয়ে অসাধু ব্যক্তির আনাগনাও বেশি। সাধারণ মানুষকে প্রতারণার হাত থেকে বাঁচাতে এবং হয়রানি যাতে না পোহাতে হয় তার জন্যই রাজ্য সরকার এই ধরনের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
রাজ্যের মানুষকে ঠিকভাবে নিরবিচ্ছিন্ন পরিষেবা দিতে মাইক্রো সার্ভিস আর্কিটেকচারের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। এর ফলে একসঙ্গে প্রচুর ট্রাফিকের আনাগোনা হলেও পোর্টাল বসে যাওয়ার মতো ঘটনা পুরোপুরি এড়ানো যাবে। পূর্বে পোর্টালে ই-ডিড পরিষেবা সংক্রান্ত কোনও কাজ করার প্রয়োজন হলে আধিকারিকদের সম্পূর্ণ পোর্টালটিকেই বন্ধ রাখতে হতো। কিন্তু বর্তমানে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে সেই সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। রাজ্য সরকার দ্বারা প্রকাশিত নতুন সেই পোর্টালটি হলো igr.wb.gov.in.








