আজ ৪ ঠা জুন শনিবার। আজ গুগল এর তরফে ভারতীয় পদার্থবিদ সত্যেন্দ্র নাথ বোস (Satyendra Nath Bose) এর ডুডল তৈরি করে তার অবদানকে পালন করা হচ্ছে। সত্যেন্দ্র নাথ বোস শুধু একজন পদার্থবিজ্ঞানে ছিলেননা তিনি ছিলেন একজন গণিতবিদও। ‘বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেটে (Bose-Einstein Statistics)’ তার অবদান অনস্বীকার্য। ১৯২৪ সালে ঠিক আজকের দিনেই সত্যেন্দ্র নাথ নিজের আবিষ্কৃত তত্ত্ব আলবার্ট আইনস্টাইনের (Albert Einstein) কাছে পাঠান আর আইনস্টাইন সেই তত্ত্বকে একটি উল্লেখযোগ্য আবিষ্কারের স্বীকৃতি প্রদান করেন।
সত্যেন্দ্র নাথ বোসের পদার্থবিদ্যায় অবদান (Satyendra Nath Bose Contribution in physics)
১৮৯৪ সালের ১ লা জানুয়ারি কলকাতায় জন্ম হয় সত্যেন্দ্র নাথ বোসের (Satyendra Nath Bose)। পড়াশুনায় তিনি খুব মেধাবী ছিলেন। তার বাবার কাছেই তার গণিতের প্রতি আকর্ষণের সূত্রপাত ঘটে। ওনার বাবা প্রতিদিন ওনার অভ্যাসের জন্য একটি করে অঙ্ক তাকে করতে দিতেন। আর তাতেই ওনার অঙ্কের প্রতি আগ্রহ আরো বেড়ে যায়। ১৫ বছর বয়সে বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক ডিগ্রির পড়া শুরু করেন। তিনি স্নাতকে শীর্ষ স্থান অর্জন করেন।
১৯১৭ সালে তিনি পদার্থবিদ্যায় (Physics) ভাষণ দেওয়া শুরু করেন। ছাত্রদের পড়াতে গিয়ে তার মনে কণা গণনার পদ্ধতি বা উপায় নিয়ে প্রশ্ন জাগলে তিনি নিজেই সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে থাকেন। নিজের মতো করে গবেষণা চালু করেন তিনি এবং যুক্তিগত ভাবে তার আবিষ্কারকে তুলে ধরেন একটি বিশিষ্ট বিজ্ঞান সংবাদপত্রে (Science Journal)। কিন্তু তারা সেটি প্রত্যখ্যান করেন।
সতেদ্রনাথ বোস সেই প্রত্যাখ্যান মেনে না নিয়ে আলব্যার্ট আইনস্টাইনকে তার আবিষ্কৃত তত্ত্বটি পাঠান সাহস করে। আর আলব্যার্ট আইনস্টাইন তার তত্ত্বটিকে একটি ঘটনায় প্রয়োগ করেন। সত্যেন্দ্রনাথ বোসের সেই তত্ত্ব বা আবিষ্কার কোয়ান্টাম থিওরিতে এক গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হয়ে ওঠে।
ভারত সরকারের তরফে সত্যেন্দ্র নাথ বোসকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছে। পদ্মবিভূষণে তাকে ভূষিত করা হয়েছে। তিনি জাতীয় অধ্যাপক হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। সত্যেন্দ্রনাথ বোসের বোস-আইনস্টাইন তত্ত্ব যারা মেনে চলেন তাদের ‘বোসন (boson)’ বলা হয়।