ধারাবাহিকের কাহিনীতে যেমন দরকার নায়ক-নায়িকার তেমনই দরকার খল চরিত্রের। কারণ খারাপ চরিত্র না থাকলে ভালোর প্রয়োজনীয়তা বোঝা যায়না। আর তাই ধারাবাহিকের কাহিনীতে দুই চরিত্রকেই রাখা হয়। দুই চরিত্রই দর্শকদের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ভালো চরিত্র ভালোর গুণে জনপ্রিয় আর খারাপ চরিত্র খারাপের জন্য জনপ্রিয়। তেমনই একজন হলেন জি বাংলার (Zee Bangla) বর্তমান সিরিয়াল ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)র পলাশ।
খারাপ চরিত্র যত মানুষের কাছে বিরক্তিকর হবে, ততই সেই চরিত্রের সার্থকতা। এই ধারাবাহিকের কাহিনীতে দেখা গেছে সহজ-সরল মেয়ে শিমুল। সেই শিমুলকে যেমন তার শাশুড়ি অত্যাচার করে, তেমনই অত্যাচার করে শিমুলের বর, দেওর। কেউ তাকে ছেড়ে কথা বলেনা, সকলেই তাকে কথা শোনায়। তবে শিমুল ছারবারর পাত্রী নয়। সেও প্রতিবাদ করে।
একজনের পক্ষে তো সহ্য করা অসম্ভব। পর্দায় পলাশ ভিলেন হলেও বাস্তবে বেশ সুন্দর। এদিন জি বাংলার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো দিদি নাম্বার ওয়ানে উপস্থিত ছিলেন শিমুলের বর, দেওর এবং দাদা। এরা সকলেই খল। এই চরিত্রের জন্য পর্দায় যেমন সবার রোষানলের মুখে পড়ে, তেমনই পর্দার বাইরেও রোষানলের মুখে পড়তে হয়। আর সেই কথা এসেই জানালেন দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে।
পলাশ চরিত্রের অভিনেতা সৌনক রায় (Sounak Ray) মঞ্চে গিয়ে তার খর চরিত্রের একটা ডেমো দেখান। সেখানে রচনা প্রশ্ন করেন, এই চরিত্রের জন্য সকলের কাছে কি কি প্রতিক্রিয়া পান। এর উত্তরে জানান, ‘ সবাই আমাকে যা তা বলে, কেউ বলে জুতো মারব, আর কেউ বলে তুমি এমন করছ সামনে পেলেই মারব’।
আরও পড়ুনঃ ‘কৃষ্ণা স্বার্থপর নয়, আত্মকেন্দ্রিক’! বাস্তবে ‘অপদস্ত’ হতেই সরব ‘বাবুর মা’
View this post on Instagram
সেটা শুনে শিমুলের বর পর্দার পরাগ অর্থাৎ দ্রোণ মুখোপাধ্যায়ও এ বিষয়ে সম্মতি জানান। ২০১৮ সালে দ্রোণ মুখোপাধ্যায় বিয়ে করেন তাঁর মায়ের এক ছাত্রীকে। কিন্তু সৌনকের তো বিয়ে হয়নি এই নিয়ে রচনা সৌনকের মাকে বলেন এসব সংলাপ শুনে কোনো মেয়ে আসবে তো? এই কথা শুনে সবাই হেসে লুটোপুটি খায়।