আমাদের প্রতি দিনের জীবনে কাজ আর কাজ, সেই কাজ থেকে একটু অবসর পেলেই মনে হয়ে ছুটে যখনই অন্য স্থানে। মনে হয় যেন, ‘থাকব না কো বদ্ধ ঘরে দেখব এবার জগৎটাকে’। পোষ্য পাখি যখন খাঁচায় থাকে, তখন মনে হয় এই একঘেয়ে আর ভালো লাগছে না, তাই খাঁচা খুলে দিলেই তারা ছুটে চলে যায় পৃথিবীর অন্যপ্রান্তে। আর ফিরে আসে না সেই খাঁচায়। মানুষেরও তাই ইচ্ছা জাগে, কাজ থেকে বিরতি নিয়ে একটু ঘুরে বেড়ায় অন্য স্থানে।
এখন শীতকাল, শীতকাল মানেই মানুষের ভ্রমণের (Winter Tour) সময়। শীতকাল মানেই পিকনিক। তবে ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের কিন্তু ভ্রমণের ইচ্ছাই জাগে। তারা শীতকালকে বাড়ি বসে উপভোগ করার থেকে বেশি প্রকৃতির কোলে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করে উপভোগ করতে পছন্দ করেন। ঠিক করতে পারে না কি করবে, কোথায় যাবে। আর চিন্তা নেই, তাদের জন্য নিয়ে এলাম শীতে ঘুরতে যাওয়ার কাছাকাছি দূর্দান্ত ঠিকানা।
শান্তিনিকেতন (Santiniketan) : সত্যিই শান্তির জায়গা। শান্তিনিকেতন গ্রাম্য এলাকা। শীতকালে গ্রামের শীতলতা বড়ই সুমধুর, সব জায়গায় একটা গন্ধ বিরাজ করে। শীতকালীন গন্ধ, যেটা শুধুমাত্র গ্রামের স্নিগ্ধ পলিবেশেই পাওয়া সম্ভব। আবার যদি পৌষ মাসে যান তাহলে তো রয়েছে পৌষমেলা, এছাড়াও প্রতি শনিবার সোনাঝুড়ির হাট। তাতে বসে নানান ধরণের হাতের জিনিস। দু দিনের ছুটি নিলেই ঘুরতে পারবেন ওই জায়গায়।
সুন্দরবন (Sundarbans) : নামের সাথে কিন্তু দর্শনের পুরোপুরি মিল আছে। সত্যিই সুন্দরী বন। এখানে গেলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের দেখা পেতে পারন, তবে এর পাশাপাশি আরও একটি জিনিস উপভোগ করতে পারবেন, সেটা হল নদীতে বোটে থেকে রাত্রি যাপন, খাওয়া দাওয়া করতে পারবেন। আর দূর থেকে জঙ্গলের গভীর রহস্যময়ী সৌন্দর্য। যা ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে স্বর্গ সমান।
জলদাপাড়া, গরুমারা অভয়ারণ্য (Jaldapara, Gorumara) : ঘুরে আসুন পশ্চিমবঙ্গের এই জায়গায়। হাতে সময় নিন পাঁচদিন। ব্যস চলে যান এই ঠিকানায়। গিয়ে আপনি জঙ্গল দেখবেন, বন্য পশু দেখবেন, পাশাপাশি হাতির পিঠেও কিন্তু উঠতে পারবেন। হাতির পিঠে উঠে জঙ্গল সাফারি করতে পারবেন। শুধু হাতি দেখবেন তা কিন্তু নয়, দেখতে পাবেন, ময়ূর, গণ্ডার, হরিণ, বাইসন, বাঘ প্রভৃতি।