সকলে তাকে রচনা ব্যানার্জী বলে চিনলেও, তার আসল নামটা জানেন কি? রচনা হয়ে ওঠার পিছনে অবদান কার

টেলিভিশনের পর্দায় বিভিন্ন ধরনের ননফিকশন শো দেখি, সেই সাথে সাথে শোয়ের সঞ্চালক সঞ্চালিকারা আমাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। এই যেমন আমাদের সকলের প্রিয় দাদাগিরির দাদা

Saranna

what the real name of actress rachana banerjee

টেলিভিশনের পর্দায় বিভিন্ন ধরনের ননফিকশন শো দেখি, সেই সাথে সাথে শোয়ের সঞ্চালক সঞ্চালিকারা আমাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। এই যেমন আমাদের সকলের প্রিয় দাদাগিরির দাদা সৌরভ গাঙ্গুলী আমাদের সকলের কাছে বেশ জনপ্রিয়। আবার রান্নাঘরের সঞ্চালিকা সুদীপা চ্যাটার্জীও বেশ জনপ্রিয়। আবার দিদি নাম্বার ওয়ানের (Didi No. 1) দিদি অর্থাৎ রচনা ব্যানার্জীও (Rachana Banerjee) আমাদের বেশ পছন্দের। 

এই অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জী দীর্ঘ ১১ বছরেরও বেশি সময় ধরে দিদি নং ১ এর সঞ্চালিকার দায়িত্বে রয়েছেন। অভিনয় জীবনেও অভিনেত্রীর বেশ সাফল্য মন্ডিত কেরিয়ার। ১৯৯০ সালে মিস ক্যালকাটা পুরস্কারে জয়ী হন। এরপর ১৯৯৩ সালে দান-প্রতিদান সিনেমার মধ্যে দিয়ে অভিনয় জীবনের সূচনা ঘটে। আর সাথে সাথে সূচনা ঘটে নতুন নামের। ভাবছেন নতুন নাম আবার কি?

jhumjhum banerjee as rachana banerjee

আসলে অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জীর আসল নাম ‘রচনা’ নয়, তাঁর আসল নাম হল ঝুমঝুম ব্যানার্জী। স্কুলের শংসাপত্র থেকে শুরু করে মিস ক্যালকাটা সবেতেই দেওয়া ছিল এই নাম। অভিনেত্রীর বাবার বন্ধু ছিলেন সুখেন দাস।  সুখেন দাস পরিচালনা করেন ‘দান প্রতিদান’ ছবির। যার মাধ্যমে অভিনেত্রীর জয়যাত্রা শুরু। এই পরিচালক যখন রচনাকে অফার দেন, তখন পরিচালকের ঝুমঝুম নাম পছন্দ হয়নি। 

আরও পড়ুনঃ রচনা ব্যানার্জীরতে টেক্কা দিতে নতুন শো নিয়ে মাঠে নামছেন ‘শ্রীময়ী’ অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদার

পরিচালকের কথায়,’ এই ঝুমঝুম নামটা চলবে না, সবাই বলবে মুনমুনের মেয়ে ঝুমঝুম’। এরপরেই সাহায্য নেওয়া হল রবীন্দ্র রচনাবলীর। সেখান থেকে বাছাই হল ঝুমঝমের নাম। নতুন নাম দেওয়া হল রচনা। সেই থেকেই বিখ্যাত হয়ে গেলেন রচনা ব্যানার্জী নামে। 

real name of actress rachana banerjee

তবে অভিনেত্রী রাতারাতি বিখ্যাত হননি। জীবনের রয়েছে অনেক ওঠা পড়া। তাঁর এই সংকটময় জীবনে পাশে পেয়েছিলেন শুধুমাত্র তাঁর বাবা রবীন্দ্রনাথ ব্যানার্জী কে। অভিনেত্রীকে ওড়িয়া ইন্ডাস্ট্রিতে সফল করে তুলতে তাঁর বাবা নিজের চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। এর জন্য বাবার কাছে কৃতজ্ঞ তিনি। পাশাপাশি পরিচালক সুখেন দাসকেও সম্মান দেন, কারণ তাঁর জন্যই তাঁর নতুন পরিচয়, নতুন জীবনের আগমন ঘটেছে।

Related Post