জীবনে তো সবাইই আমরা চাই ঝুঁকি নিতে। ঝুঁকি না নিলে তো জীবনে মজা আসে না। আর তাই তো আমরা ঝুঁকি নিতেই অভ্যস্ত। আর তাই তো নিজেকে নতুন ভাবে তুলে ধরতে, নতুন ভাবে আবিষ্কার করতে ট্রেকিং এর স্বাদ গ্রহণ করি। আর তাই ভাবছেন এবছরের ট্রেকিং টা কোথায় করবেন ? চিন্তা নেই, আপনাদের জন্য একটা খুব সুন্দর কাছাকাছি একটা ট্রেকিং এর আস্তানার খোঁজ দিলাম।
এই নতুন আস্তানাটা হল গদ্রাসিনী পাহাড় (Gadrasini Hill)। কলকাতা থেকে ১৯০ কিমি দূরে অবস্থিত বেলপাহাড়ি গ্রাম। এখানে রয়েছে শাল, মহুয়া, সোনাঝুরি, পিয়াল, ইউক্যালিপটাস ও কেন্দুগাছের অগাধ বিচরণ। লাল মাটির কাঁকুড়ে পথ, যা আপনাকে মনে করাবে গ্রামের গন্ধ। আর এই গন্ধের মাদকতায় মেতে উঠবে আপনার মন প্রাণ। আদিবাসী গ্রামের জীবন যাপন দেখতে দেখতে মনে মনে আদিবাসী গান আওড়াবেন।
আর এই গ্রাম থেকে ১০ কিমি দূরেই রয়েছে সেই গাড়রাসিনি পাহাড়। পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে মন্দির এবং গুহা। একদিকে রয়েছে অমন সুন্দর একটা গ্রাম, আর সেই গ্রামের গায়েই রয়েছে পাহাড়। একেবারে ড্রয়িং বইয়ের প্রাকৃতিক দৃশ্য। এই দৃশ্য কে উপভোগ করতে আসতেই হবে এখানে।
শুধু দৃশ্য উপভোগ নয়, উপভোগ করতে পারবেন ট্রেকিংয়ের স্বাদ। এখানে সকাল সকাল বেড়িয়ে পড়তে হবে ট্রেকিংয়ের জন্য। ট্রেকিং করে এসে শরীর ক্লান্ত, আর তাই সেই ক্লান্তি দূর করতে রাতে আদিবাসি নাচ দেখতে দেখতে গরম গরম মুরগির ঝোল আর ভাত খেয়ে নিদ্রাযাপন করবেন।
এখানে রয়েছে থাকারও সুবন্দোবস্ত। পাহাড়ের কোলে অবস্থিত আগইবিল গ্রামে মঙ্গল সিং নিজের উদ্যোগে কয়েকটি পাকা বাড়ির পাশাপাশি কয়েকটি মাটির বাড়ি তৈরী করেছেন, পর্যটকদের থাকার জন্য।
গন্তব্য স্থানে পৌঁছানোর উপায় : হাওড়া থেকে ট্রেনে করে চলে যাবেন ঝাড়গ্রাম। আর সেখান থেকে গাড়ি করে বেলপাহাড়ি। তাহলে আর দেরী কেন, ছুটিছাটা দেখে বেড়িয়ে পড়ুন এই রাস্তা ধরে।