জি বাংলার (Zee Bangla) যে কয়েকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ধারাবাহিক হল ‘ইচ্ছে পুতুল’ (Icche Putul)। ত্রিকোণ প্রেমের গল্পের কাহিনী নিয়ে তৈরি হওয়া ধারাবাহিক কিছু দর্শকদের চোখের মণি হয়ে উঠেছে আর কিছু দর্শকদের চোখের বিষ হয়ে উঠেছে। ধারাবাহিকের তিনজন কেন্দ্রীয় চরিত্র। মেঘ, ময়ূরী আর নীল। ময়ূরী দিদি হলেও খল।
নীল নায়ক হয়েও ভিলেন। আর মেঘ দর্শকদের নয়নের মণি। মেঘের উপর কোনো অত্যাচার সহ্য করতে পারেনা দর্শকরা।মেঘ আর নীলের সম্পর্কটা প্রথমদিকে বেশ ভালোঈ চলছিল, কিন্তু শয়তানি দিদি তা আর সহ্য করতে পারল না, সম্পর্কের ভাঙন ধরাল। ময়ূরী যে সম্পর্কের ভাঙন ধরাতে পারে একথা কিছুতেই বিশ্বাস করেনা মেঘের শ্বশুর বাড়ির লোক। সবসময় খুঁত ধরতে ব্যস্ত।
ময়ূরী সবসময় অন্যায় করেও পার পেয়ে যাবে। আর মেঘ সবসময় দোষী হবে এটা কিছুতেই মেঘ মেনে নিতে পারেনি। তাই সে ময়ূরীর মুখ দিয়ে সমস্ত অন্যায়ের কথা স্বীকার করিয়েছে। সব শুনে মেঘের কাছে ক্ষমা চেয়েছিল নীল। কিন্তু ময়ূরী এত সহজে হেরে যাওয়ার, মাথা নত করার মেয়ে নয়। সে আবারও নীলসহ গোটা গাঙ্গুলী পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা অভিনয় করে মেঘের নামেই দোষারোপ করে। সে জানায়, মেঘ বাধ্য করেছে মিথ্যা বলতে, তাই সে মিথ্যাভাবে সবটা বলে।
নিজেকে এভাবেই নির্দোষ প্রমাণিত করে ময়ূরী। এইসব শুনে নীল আরও রেগে যায়। মেঘকে ডিভোর্স দিতে উদ্যত হয়। এর পাশাপাশি সে জানিয়ে দেয়, ময়ূরীকে বিয়ে করবে। ইতিমধ্যেই ডিভোর্সের তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। ময়ূরীকে নিয়ে শপিংয়ে যায়। মেঘকে দেখে নীল ইচ্ছা করে ময়ূরীর সিট বেল্ট বেঁধে দেয়, তারপর দুজনে হাসতে হাসতে বেড়িয়ে পড়ে গন্তব্য স্থলে।
আরও পড়ুনঃ মেঘের যোগ্যই নয়! ডিভোর্স দিয়ে ময়ূরীকে বেছে নিল নীল, ফাঁস ‘ইচ্ছে পুতুলে’র আগাম পর্ব
নীলের নির্লজ্জের মতো ব্যবহার দেখে ক্ষুব্ধ অনুরাগীরা। তবে নীল মন থেকে চায়না ময়ূরীকে বিয়ে করতে। জোর করেই সে বিয়ে করছে। মিথ্যা নাটক করছে। মেঘকে কষ্ট দেওয়ার জন্য, মেঘকে দেখানোর জন্য নীলের এমন কান্ড কারখানা। মেঘ এসব সহ্য করতে পারছেনা, প্রকাশ্যে না স্বীকার না করলেও সে দরজা বন্ধ করে আড়ালে চোখের জল ফেলছে।