“Jio Kirana” বলতে সাধারণত JioMart Kirana / Jio কিরানা পার্টনারশিপ বোঝানো হয়। অর্থাৎ আপনার নিজস্ব কিরানা দোকানকে JioMart-এর সঙ্গে যুক্ত করা, বা JioMart ব্র্যান্ডের অংশ হিসেবে ব্যবসা চালানোকে বোঝানো হয়েছে। তাই এই উপায়ে ব্যবসা করা যথেষ্ট লাভজনক। কিন্তু আপনি কি কখনও Jio Mart ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার কথা ভেবেছেন? Jio Mart ফ্র্যাঞ্চাইজি শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত বিবরণ এবং বিনিয়োগের বিবরণ নিয়ে আলোচনা করা হল।
Jio (JioMart) কী?
- JioMart হলো Reliance Retail-এর একটি ই-কমার্স / অনলাইন গ্রসারি ও রিটেইল প্ল্যাটফর্ম।
- JioMart “Kirana Store Partnership” মডেল চালায়, যেখানে স্থানীয় কিরানা দোকানগুলো তাদের দোকানকে ডিজিটালভাবে JioMart সঙ্গে যুক্ত করতে পারে। অর্থাৎ দোকানটি JioMart-এর সাপ্লাই চেইন, অর্ডার, ও প্রমোশন সুবিধা পেয়ে থাকে।
- JioMart পার্টনার দোকানগুলিকে “Smart Kirana” বানাতে কিছু ডিজিটাল সরঞ্জাম, অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সাপোর্ট, প্রমোশনাল সুবিধা ইত্যাদি দিয়ে থাকে।
কত টাকা ইনকাম (লাভ) করা যেতে পারে?
একটি দোকান থেকে কত টাকা ইনকাম বা লাভ হবে সেটা নির্ভর করছে দোকানটি কোথায় অবস্থিত, দোকানের আয়তন, লোকাল চাহিদা, খরচ ইত্যাদির ওপর। আর এই প্রতিটি বিষয়ই খুব পরিবর্তনশীল।
| বিষয় | অনুমান |
|---|---|
| লাভ | কিরানা ব্যবসায় সাধারণভাবে ৫–১০ % এর লাভ মার্জিন থাকতে পারে (বিভিন্ন খরচ বাদ দিলে) |
| আয় | কিছু অনলাইন সূত্র বলছে, JioMart পার্টনার কিরানা দোকানগুলোর আয় বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। কিছু ক্ষেত্রে চার গুন রেভিনিউ বৃদ্ধির তথ্য পাওয়া গেছে। |
| খরচ | রেন্ট, বিদ্যুৎ, স্টাফ বেতন, ইনভেন্টরি খরচ, পরিবহন খরচ ইত্যাদি বাদ দিতে হবে। |
| সময় লাগতে পারে | প্রথম কিছু মাস কোয়ালিটি, কাস্টমার আস্থা গড়ে তুলতে সময় লাগতে পারে, ফলে শুরুতে লাভ কম হতে পারে। |
অর্থাৎ একটি কিরানা দোকানের মাসিক বিক্থা২ লক্ষ টাকা হলে সব খরচ বাদে ৮ % লাভ ধরলে অঙ্কটি দাড়ায় ১৬,০০০ টাকা। তাই দোকানে বিক্রি বেশি হলে বা ভালো লোকেশন থাকলে লাভের পরিমাণও বাড়বে।
কিভাবে Jio Kirana / JioMart পার্টনার হওয়া যাবে?
নিম্নলিখিত ধাপগুলো সাধারণত অনুসরণ করতে হয়:
আবেদনের পদ্ধতি
JioMart বা Reliance Retail-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে এবং “Kirana Partnership” বা “Join as Kirana partner / franchise” সেকশনে যেতে হবে
আবেদন ফর্মের তথ্য
ব্যক্তিগত তথ্য, দোকানের ঠিকানা, ব্যবসার অভিজ্ঞতা, আর্থিক তথ্য ইত্যাদি দিয়ে আবেদন ফর্ম জমা দিতে হবে।
ডকুমেন্ট
- পরিচয় প্রমাণ (আধার, প্যান ইত্যাদি)
- দোকান ভাড়ার বা মালিকের কাগজপত্র
- আর্থিক স্টেটমেন্ট / ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি
দোকান মূল্যায়ন ও অডিট
JioMart টিম দোকানের অবস্থা, জায়গা, গ্রাহক সম্ভাবনা ইত্যাদি দেখে মূল্যায়ন করবে।
চুক্তি স্বাক্ষর ও সাপোর্ট
পার্টনারশিপ চুক্তি স্বাক্ষর করার পর JioMart আপনাকে প্রযুক্তিগত সাপোর্ট, অর্ডার মডিউল ইন্টিগ্রেশন, প্রশিক্ষণ ও প্রমোশনাল নির্দেশিকা দেবে। ব্যাস এবার আপনি JioMart-এর ইনভেন্টরি, অর্ডার সিস্টেম, প্রমোশনাল অফার ইত্যাদির সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন এবং গ্রাহকরা অনলাইন অর্ডার করলে আপনার দোকান থেকে সরবরাহ করতে পারবেন।








