আমরা পনির এবং ছানা দুইই খেতে বেশ ভালোবাসি। কিন্তু কখনও কখনও ভাবি পনির আর ছানা এক। কিন্তু সত্যিই কি পনির আর ছানা (Chhana) এক? দেখতে সাদা, স্বাদও প্রায় এক, তাহলে কি এক? আসুন জেনে নেওয়া যাক। আসলে দুধ কেটে অর্থাৎ দুধে ভিনিগার কিংবা লেবুর রস দিলেই, সেটা কেটে যায়। তারপর সেটা দিয়ে তৈরি হয় পনির (Paneer)। অর্থাৎ পনিরের আগের রূপ ছানা। ছানা থেকেই তৈরি হয় পনির। দুজনের আকারেও আলাদা। দুটো জিনিসের তৈরীর পদ্ধতিও আলাদা।
তৈরীর পার্থক্য : গরম দুধে ভিনিগার কিংবা লেবুর রস দিলেই দুধ কেটে যাবে। জমাট দুধ হয়ে যাবে ছাড়া ছাড়া ভাব। এরপর এটিকে পাতলা কাপড়ে ছেকে নিয়ে জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর জল ঝড়িয়ে নিলেই তৈরী হয়ে যাবে ছানা । এরপরেই খাওয়া যাবে এটিকে। কিন্তু পনির করতে গেলে, এই জল ঝড়িয়ে নেওয়ার পর লবণ যোগ করতে হবে। এরপর ভালো করে চিপে চিপে জল বার করে নিতে হবে। এর উপর ভারী কিছু দিয়ে চাপা দিতে হবে। তারপর এটিকে পনিরের আকারে কেটে ফ্রিজে রেখে দিন। জমে গেলেই তৈরী।
জন্মের পার্থক্য : এখন ভারতের সব জায়গায় ছানা এবং পনির দুটোই জনপ্রিয়। তবে দুটো জিনিসের জন্মস্থান আলাদা। ভারতে যখন পর্তুগীজরা আসে তখন তারা শিখিয়েছিলেন ছানা তৈরি করতে। এর আগে মানুষ ছানা ফেলেই দিত। এরপর বাংলার মানুষ এই ছানা থেকেই তৈরি করতে লাগল নানান স্বাদের জিনিস। আর পনির হল দক্ষিণ এশিয়ার একটি দুগ্ধজাত খাদ্য। সেখানেই তৈরি হয়েছিল পনির। এরপর তা অনুসরণ করে ভারতীয়রাও পনির বানাতে শুরু করে।
পরিবেশনের পার্থক্য : দুটো জিনিসকে কিন্তু একইভাবে খাওয়া যায়না। ছানা থেকে তৈরি হয় মিষ্টি , সন্দেশ এবং ছানার ঝাল। আর পনির থেকে শুধুই হয় তরকারি। পনির থেকে মিষ্টি বানানো যায়না।
আরও পড়ুনঃ পরিষ্কার হবে নতুনের মতন! গ্যাস বার্নার পরিষ্কার করতে জেনে নিন এই ৪ পদ্ধতি
রূপের পার্থক্য : পনির হয় চৌকো আকারের। আর ছানা হয় ছড়ানো ছড়ানো। ওর কোনো নির্দিষ্ট আকার নেই। আর জানাতে থাকে ময়েশ্চার, আর পনিরে সেই ময়েশ্চার নেই।