ছোটবেলায় পিতৃহারা! মায়ের লড়াইয়ের কাহিনী প্রকাশ্যে আনলেন ‘অষ্টমী’ নায়িকা ঋতব্রতা

জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় সদ্য শুরু হয়েছে ‘অষ্টমী’ (Ashtami)। নতুন ধারাবাহিকের প্রধান চরিত্র হিসাবে থাকছেন অভিনেত্রী ঋতব্রতা দে (Ritobrota Dey)। যদিও এটা তাঁর প্রথম সিরিয়াল

Nandini

ashtami actress ritobrota dey's real life story

জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় সদ্য শুরু হয়েছে ‘অষ্টমী’ (Ashtami)। নতুন ধারাবাহিকের প্রধান চরিত্র হিসাবে থাকছেন অভিনেত্রী ঋতব্রতা দে (Ritobrota Dey)। যদিও এটা তাঁর প্রথম সিরিয়াল নয়, তবে জি বাংলায় প্রথম। এর আগে কালার্স বাংলায় ‘নায়িকা নাম্বার ওয়ান’ এর নায়িকা হয়েছিলেন ঋতব্রতা। দর্শকেরাও বেশ পছন্দ করতে শুরু করেছেন মেগা সেরিয়ালটিকে।

সম্প্রতি ‘অষ্টমী’র অভিনেতা অভিনেত্রীদের টিম হাজির হয়েছিল দিদি নং ওয়ানের মঞ্চে। রিয়েলিটি শোয়ের মঞ্চেই বেরিয়ে এসেছে ঋতব্রতার জীবনের জানা অজানা কাহিনী। কিভাবে অভিনেত্রী হলেন? কতটা স্ট্রাগল করতে হয়েছে? এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলেছে এই বিশেষ পর্বেই। জানা যায়, অনেক ছোটবেলাতেই বাবাকে হারিয়েছিলেন অভিনেত্রী।

ashtami serial actress ritobrota dey

ঋতব্রতার কথায়, কোনোদিনও ভাবিনি অভিনয়ে আসবো। মায়ের জন্যই সম্ভব হয়েছে সবটা। আমার ইচ্ছা ছিল ভালো করে পড়াশোনা শেষ করে একটা চাকরি করব। ২০০৫ সালেই বাবাকে হারাই, তাই মা আমার সিঙ্গেল প্যারেন্ট। মা খুব লড়াই করেছে, তাই মাকে ভালো রাখতে হবে, এই চিন্তা সবসময় মাথায় রাখতে হবে। এরপর অভিনয়ে কিভাবে এলেন সেটাও জানান তিনি।

আরও পড়ুনঃ টলিপাড়ায় সানাই, সাতপাকে ঘুরবেন রূপাঞ্জনা! সাজপোশাক থেকে মেনু সবটাই ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী

অভিনেত্রী জানান, হটাৎই একদিন অডিশন দিয়েছিলেন। কিছু না নিজেই প্রথম অডিশন দেওয়া। এরপর অল্প স্বল্প করে কাজ পেতে শুরু করেন। এভাবেই আজ জি বাংলার নায়িকা তিনি। হ্যাঁ শুনতে অনেকটা স্বপ্নের মত লাগলেও এমনটাই বাস্তবে হয়েছে বলে জানালেন ঋতব্রতা।

অবশ্য, ‘অষ্টমী’তে অন্ধের চরিত্রে কাজটা বেশ চ্যালেঞ্জিং। তাই কেরিয়ারের শুরুর দিকে এমন কাজ করতে পেরে দারুন উচ্ছসিত তিনি। ঋতব্রতা জানান, পর্দার অষ্টমী হয়ে ওঠার জন্য বাস্তবে বাড়িতেও ওয়ার্কশপ করেছেন তিনি। তাই আশা করে যায় যে দর্শকদের গল্প ও অভিনয় বেশ পছন্দ হবে।

আরও পড়ুনঃ সূর্যকে ছাড়াই হ্যাপি এন্ডিং? সাক্ষাৎকারে শেষের ইঙ্গিত ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র ‘দীপা’র!

প্রসঙ্গত, ‘অষ্টমী’র গল্পে দেখা যাবে কলকাতার মেয়ে অষ্টমী স্কুলের চাকরি পেয়ে নবগ্রামে যাবে। সেখানেই থাকে জমিদার পুরুষোত্তম, যাকে গ্রামবাসী ভগবান বলে মনে করেন। আদতে তিনি, সাধারণ মানুষের বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে লোক ঠকান। এবার সেই ভণ্ডামি সবার সামনে আনবে অষ্টমী, তবে সেটা আগেভাগে বুঝতে পেরেই নিজের ছেলে আয়ুষ্মানের সাথে অষ্টমীর বিয়ে দিয়ে দেবে ঠাকুর পুরুষোত্তম।

Related Post