বাংলা সিরিয়ালের (Bengali Serial) মধ্যে অন্যতম একটি জনপ্রিয় সিরিয়াল হল খড়কুটো (Khorkuto)। সিরিয়ালের মূল আকর্ষণ হল গুনগুন আর সৌজন্য। গুনগুনের চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী তৃণা সাহা (Trina Saha)। অন্যদিকে সৌজন্যের চরিত্রে আছেন অভিনেতা কৌশিক রায় (Kaushik Roy)। দুজনের চরিত্রের মধ্যে ব্যাপক ফারাক রয়েছে। গুনগুন একেবারে পাগলপারা দুস্টু মিষ্টি একটা মেয়ে সেখানে সৌজন্য গম্ভীর।
দুজনের জুটি প্রথম থেকেই দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। দিনে দিনে জনপ্রিয়তাও বেড়েছে অনেকটাই। সিরিয়ালের পর্ব যত এগিয়েছে সৌজন্য আর গুনগুন ততই কাছাকাছি এসেছে। দুজনেরই একেঅপরের প্রতি প্রেম বেড়েছে অজান্তেই। এখন সেই প্রেম দুজনেই বেশ ভালো বুঝতে পারে, তবে মুখে কিন্তু সেভাবে প্রকাশ করে না কেউই।
সিরিয়ালে গুনগুনকে বেশ মানিয়েছে ঠিকই কিন্তু জানলে অবাক হবেন প্রথম দিকে ভালো করে বাংলা বলতে পারতেন না তৃণা। না খড়কুটো সিরিয়ালের কথা বলছি না। তৃনা সাহার অভিনয় জগতে প্রবেশ হয়েছিল পরিচালক স্নেহাশিস চক্রবর্তীর (snehashish chakraborty) সিরিয়াল ‘খোকাবাবু’ এর মধ্যে দিয়ে।
খোকাবাবুতে অভিনয়ের সময় পরিচালক বুঝতে পারেন বাংলা উচ্চারণে সমস্যা রয়েছে তৃণার। এদিকে কাজের সাথে কিন্তু কোনো আপোষ বরদাস্ত করেননা স্নেহাশিস চক্রবর্তী। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় প্রণীত ‘বর্ণপরিচয়’ বইটি তৃণা সাহার হাতে তুলে দেন।
অভিনেত্রী তৃণা সাহার মতে, তার সাফল্যের জন্য স্নেহাশীষবাবুর অবদান অনস্বীকার্য। অভিনেত্রী প্রথম ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলেন সহকারী পরিচালক হিসাবে। চেয়েছিলেন পরিচালনা করতে, কিন্তু আজ অভিনয়ের কারণেই সকলে চিনে গেছেন অভিনেত্রীকে। অবশ্য শুধু সিরিয়াল নয় ‘আরশিনগর’-এ অপর্ণা সেন (Aparna Sen) ও ‘জুলফিকার’-এ সৃজিত মুখার্জি (Srijit Mukherjee)-কে অ্যাসিস্ট করেছেন তৃণা। তাদের থেকে অনেক কিছু পেয়েছেন শেখার মত।
বর্তমানে যাদের সাথে অভিনয় করছেন তাদের থেকো অনেক কিছু শিখেছেন অভিনেত্রী। খড়কুটো পরিবারে কৌশিক রায় ও চন্দন সেন (chandan sen) তৃণার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। সিরিয়ালের জন্য অডিশন দিয়েছিলেন তৃণা সাহা। তারপরই তাকে বেছে নিয়েছিলেন লেখিকা লীনা গাঙ্গুলি (Leena Ganguly)।