‘বাবা হতে পারিনি কিন্তু দুঃখ নেই’, অকপট অভিনেতা শুভাশীষ মুখোপাধ্যায়!

Subhasish Mukherjee : ভালোবাসা এমনই একটা জিনিস, যা হার মানায়, সমস্ত কিছুকে। হার মানায় রাগ-ঝগড়া-অশান্তিকে। হার মানায় যে কোনো সমস্যাকে। এক টুকরো ভালোবাসা সবার থেকে

Saranna

subhasish mukherjee openup about his life

Subhasish Mukherjee : ভালোবাসা এমনই একটা জিনিস, যা হার মানায়, সমস্ত কিছুকে। হার মানায় রাগ-ঝগড়া-অশান্তিকে। হার মানায় যে কোনো সমস্যাকে। এক টুকরো ভালোবাসা সবার থেকে এগিয়ে। আর সেই ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে স্বানন্দে প্রায় ৩৮ বছরের দাম্পত্য কাটাচ্ছেন অভিনেতা শুভাশিস মুখোপাধ্যায় (Subhasish Mukherjee) এবং নাট্যব্যক্তিত্ব ঈশিতা মুখোপাধ্যায়। সামনেই দোল।

দোল মানেই সকলের মনে একটা নতুন করে প্রেম জাগে। আর এই দোলের দিন দম্পতিরা নতুন করে প্রেমে মাতেন।আর তাই দোলের দিন শুভাশিস মুখোপাধ্যায় এবং ঈশিতা মুখোপাধ্যায় পৌঁছে গেছেন বোলপুর শান্তিনিকেতনে। কলকাতায় নয়, প্রতি বছর বোলপুরে দোল কাটান। সেখানে একটি বাড়িও রয়েছে। বোলপুরে দোল কাটানোর একটা আলাদা মজা আছে।

actor subhasish mukhopadhyay openup about now days actor's

আর তাই তো ছুটে যান সেদিকে। বহু বছর বিয়ে হয়েছে, কিন্তু প্রেম এখনো ঠিকঠাক ভাবেই রয়েছে। আর তাই তিনি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন,  তিনি একা আসেননি, স্ত্রীকে ছাড়া একা আসতেই পারেন না। বুঝতেই পারছেন এখনো কতটা তরতাজা হয়ে রয়েছে তাদের প্রেম। আবার এই দোলের দিনেই শাশুড়িমায়ের জন্মদিন। সবমিলিয়ে একেবারে স্বয়ংসম্পূর্ণ। 

আরও পড়ুনঃ ‘জানি মা থাকলে…..’ বড়পর্দায় পা রাখতেই মাকে মিস করছে ‘মিশকা’! স্মৃতি ভাগ করে নিলেন অহনা

১৯৯৬ এ বিয়ে করেন ঈশিতাকে, আলাপ-প্রেম বিয়ে সবমিলিয়ে ৪ দশকের সম্পর্ক। এখনো স্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ অভিনেতা। অভিনেতার কথায়, ‘ওর মতো মেয়ে হয়না। আমি ভাগ্যবান’। এত সুন্দর সম্পর্কের মাঝেও রয়েছে একটা জটিলতা, রয়েছে অন্ধকার। এই দম্পতি নিঃসন্তান। অভিনেতার কথায়, ‘আমি বাবা হতে পারিনি তো কি হয়েছে? আমার দুঃখ নেই, আমি আর ঈশিতা দিব্যি আছি’। 

subhasish mukherjee with his wife ishita mukherjee

অভিনেতা মনে করেন সবার জীবনেই দরকার একজন আদর্শ জীবনসঙ্গিনী। আর সেই আদর্শ মানুষ হলেন স্ত্রী। উল্লেখ্য, বাড়িতে স্ত্রী আর শাশুড়ি থাকেন এর পাশাপাশি একটা নাটকের দল রয়েছে। নাটকের দলের নাম ‘উষ্ণীক’। এই নাটকের দলের দেখাশোনা করেন ঈশিতা। দুজনই আড্ডা দিতে খুব ভালোবাসেন। অভিনেতার বাবার সময় থেকেই অনেক গুণী মানুষের সমাবেশ ঘটত, আর সেই ধারা এখনো বজায় রেখেছেন।

Related Post