লকডাউনে চাকরি হারিয়েছেন! আমের আচার বিক্রি করেই লাখ লাখ টাকা ইনকাম তরুণীর

লকডাউন (Lockdown) শব্দটা আজ বিশ্বের সব মানুষের কাছেই একটা পরিচিত শব্দে পরিণত হয়েছে। যে শব্দটা সকলের মনেই একরাশ আশঙ্কার সৃষ্টি করে। গত ২০২০ সালে হঠাৎ

Desk

Young women earning lakhs per month with aachar

লকডাউন (Lockdown) শব্দটা আজ বিশ্বের সব মানুষের কাছেই একটা পরিচিত শব্দে পরিণত হয়েছে। যে শব্দটা সকলের মনেই একরাশ আশঙ্কার সৃষ্টি করে। গত ২০২০ সালে হঠাৎ করেই মানুষকে পরিচিত হতে হয় এই লকডাউন শব্দটার সাথে। এই একটি শব্দ কেড়ে নিয়েছিল লক্ষ-কোটি মানুষের রাতের ঘুম। কাজ হারিয়ে একদল মানুষ হয়ে পড়েছিল চরম অসহায়। সেই সময় বাংলাদেশের (Bangladesh) এক তরুণী আমের আচার বানিয়ে (Mango Pickle) বিক্রি করতে শুরু করেন।

পরিজনকে, প্রতিবেশীকে চোখের সামনে মরতে দেখতে হয়েছিল কিছু মানুষকে। বাঁচাতে চেয়েও পারেনি। লক্ষ লক্ষ লাশ কবর দেওয়া হয়েছে সঠিক গুনতি ছিল না কোনো। স্বাস্থ্য বিধি মেনে নিজেদের গৃহবন্দী করতে বাধ্য হয়েছিল কোটি কোটি মানুষ। বহু মানুষ কাজ হারিয়ে হয়ে পড়েছিলেন সর্বহারা। তবে এতো কিছুর মাঝেও কিছু মানুষ নিজের মনকে শক্ত করে বেঁধে লেগে পড়েছিলেন নিজের সঞ্চিত পুঁজি দিয়ে ব্যবসা করতে। তাদেরই একজন ওই তরুণী। যে আমের আচার (Mango Pickle) বিক্রি করে আজ লক্ষ টাকার মালিক।

Young women earning lakhs per month with aachar

আমের আচার বিক্রি করে তরুণীর লক্ষ টাকা আয় (Young women earning lakhs by selling Mango Pickle)

বাংলাদেশের ওই তরুণীর নাম সামিহা সামছাদ। বাংলাদেশের (Bangladesh) বগুড়ায় থাকেন। আর সকলের মতো লকডাউনে (Lockdown) সেও নিজের চাকরি হারায়। কিন্তু সে ভেঙে পরে না। হেরে না গিয়ে সে শুরু করে আচারের ব্যবসা। তার এই ব্যবসার আইডিয়া সে পেয়েছিলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। বাড়িতে আমের আচার বানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করলে অনেকেই তাকে আচারের দাম জিজ্ঞাসা করে সে অনুপ্রেরণা পায়। জীবনে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর নতুন উপায় খুঁজে পায়।

সামিহা বাড়িতে আমের আচার বানাতে শুরু করেন আর তারপর ফেসবুক মাধ্যমে সেগুলি বিক্রি করতে শুরু করে। যখন সে প্রথম এই ব্যবসা শুরু করেছিল তখন তাকে কেবল তার মা সাহায্য করতে পারতেন। বর্তমানে সামিহা তার এই ব্যবসার জন্য অতিরিক্ত চারটি লোক রেখেছেন। সামিহা এই ব্যবসা করে ৮ লক্ষ্ টাকা অবধি মুনাফা করেছেন।

আরও পড়ুনঃ কেন শ্রী কৃষ্ণের গায়ের রং নীলাভ! জেনে নিন আসল কারণ

নিত্যদিনের রোজগারের পথ যখন এক মুহূর্তে বন্ধ হয়ে গেলো তখন অথৈ জলে পরে গিয়েও সাঁতরে পাড় খোঁজার চেষ্টায় একদল মানুষ লেগে পড়লেন ব্যবসা করতে। অনেকে অনেক রকম ব্যবসার চেষ্টা করেছেন। তাদের কেউ সফল হয়েছেন আবার কেউ হয়েছেন চরম ব্যর্থ। আজ আমরা এমনই এক তরুণীর কথা আপনাদের জানাবো যে, লকডাউনে চাকরি হারিয়ে ব্যবসার পথ ধরেছিলো। তবে তার নাম সে সফল ব্যবসায়ীদের তালিকায় জুড়তে সক্ষম হয়েছে। আশা রাখি তার এই গল্প হাজারও হেরে যাওয়া মানুষকে নতুন করে জীবনে এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা জোগাবে।

Related Post