নিঃসন্তান হলেও ‘মা’ ডাক থেকে বঞ্চিত হননি! প্রথমবার মাতৃত্ব নিয়ে অকপট অভিনেত্রী অপরাজিতা

Aparajita Adhya : পর্দার জীবনের সাথে বাস্তবের জীবন কোনোভাবেই মেলেনা। পর্দায় তিনি স্নেহময়ী জননী, কখনো একটা সন্তানের জননী আবার কখনো তিনটে। আদর্শ মায়ের চেহারা, ব্যবহার

Saranna

aparajita adhya openup about her life

Aparajita Adhya : পর্দার জীবনের সাথে বাস্তবের জীবন কোনোভাবেই মেলেনা। পর্দায় তিনি স্নেহময়ী জননী, কখনো একটা সন্তানের জননী আবার কখনো তিনটে। আদর্শ মায়ের চেহারা, ব্যবহার যেমন ঠিক তেমনটাই তিনি। কিন্তু বাস্তবে তিনি নিঃসন্তান। কে তিনি? এই মানুষটি হলেন অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya)টলি (Tollywood) ইন্ড্রাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী।

ইন্ড্রাস্ট্রিতে ছোটোরা তাঁকে ‘অপামা’ বলে সম্বোধন করে। বর্তমানে তিনি স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘জল থই থই ভালোবাসা'(Jol Thoi Thoi Valobasa)র কোজাগরী হিসাবে পরিচিত। কেন করবে না? তিনি যে আদর্শ মাতৃ মূর্তি। তিনি নিঃসন্তান হলেও তিনি সকলের মা। ধারাবাহিক থেকে সিনেমা সবেতেই তিনি অভিনয় করেছেন মায়ের চরিত্রে। ‘চিনি’, ‘একান্নবর্তী’র মতো ছবিতে মায়ের চরিত্রে দেখা গেছে।

star jalsha upcoming serial jol thoi thoi valobasa new promo

মাত্র ২২ বছর বয়সেই ‘এক আকাশের নীচে’ ধারাবাহিকে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। পর্দায় সাজানো গোছানো মা হলেও, ২৬ বছরের বিবাহিত জীবনে শুনতে পাননা ‘মা’ ডাক। অতনু হাজরাও বঞ্চিত ‘বাবা’ ডাক থেকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁরা সুখী দম্পতি। কিন্তু এই আলোর মাঝেও রয়েছে আঁধার।

আরও পড়ুনঃ বয়সকে বুড়ো আঙুল, নতুন ইনিংস শুরু দুই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মাধবী-সাবিত্রীর!

সেই আঁধার কি অপরাজিতাকে পীড়া দেয়? এ প্রসঙ্গে প্রথমবার মুখ খুললেন অপরাজিতা আঢ্য। তিনি জানান, ‘আমি বিশ্বাস করিনা সকলকেই বায়োলজিক্যাল মাদার হতে হবে। মাতৃত্ব অনেক বড় জিনিস, শুধুমাত্র সন্তানের জন্ম দিয়েই মাতৃত্বকে প্রমাণ করা যায়না। মাতৃত্বের অনেক দিক থাকে। বাবারাও অনেক সময় ভালো মা হতে পারেন। আমার মেয়ে আছে, সে আমাকে মা বলে ডাকে।

host sudipa mukherjee is going to change by aparajita adhya

শুধু সে নয়, আমার অনেক সন্তান আছে, যাদের আমি সন্তানসম স্নেহ করি, তারা সকলেই আমাকে মা বলে ডাকে (প্রিয়াঙ্কা ভট্টাচার্য, শ্রীতমা ভট্টাচার্য)। সুতরাং ‘মা’ ডাকের অভাব নেই’। অপরাজিতার সবথেকে কাছের মেয়ে গার্গী। সে অপরাজিতাকে ‘মা’ বলে ডাকে। আর অতনুকে ‘বাবা’ ডাকে। নিজের মেয়ে থাকলে গার্গীর মতো হতে পারত না। গার্গী অনেক কিছুই করেছে তাঁদের জন্য।

আরও পড়ুনঃ ‘বাবা হতে পারিনি কিন্তু দুঃখ নেই’, অকপট অভিনেতা শুভাশীষ মুখোপাধ্যায়!

অতনু টানা দশদিন হাসপাতালে ছিলেন, সেই সময় হাসপাতালে সবসময় ছিলেন গার্গী। গার্গীর মা-বাবা সকলেই রয়েছেন, কিন্তু তাও তিনি মা বলে ডাকেন অপরাজিতাকে। হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের যদি দুটো মা থাকতে পারে, বাস্তবে কেন থাকবেনা? অপরাজিতার কথায়, ‘অনেকের বায়োলজিক্যাল সমস্যা থাকতে পারে, তাই বলে কি তিনি মা নন’। অবশ্যই তিনি মা। তা নাহলে, ‘মাদার টেরেসা’, ‘মা সারদা’ এই মানুষগুলো বৃথা হয়ে যাবে।

× close ad